ভিসা করতে কি কি লাগে সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনি কোন দেশের নাগরিক, কোন দেশে যেতে ইচ্ছুক এবং কোন কারণে যাবেন ইত্যাদি বিষয়ের উপর! যে কোন দেশে ভ্রমণ করতে চাইলে কিছু আবশ্যিক কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। ভিসা কিভাবে করতে হয় এবং কি কি কাগজপত্র লাগে জানতে চাইলে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।
বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের বিভিন্ন দেশে যেতে হয়। সেটা হতে পারে পড়াশোনা, চাকরির উদ্দেশ্যে কিংবা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। আর এজন্য অবশ্যই ভিসা আবশ্যক। তাই আপনাকে জানতে হবে ভিসা কিভাবে করতে হয়। যদিও কিছু কিছু দেশে স্বল্প সময়ের জন্য ভিসা ছাড়াও ভ্রমণ করা যায়।
দেশভেদে ভিসা আবেদন করার কাগজপত্র সাধারণত আলাদা হয়ে থাকে। তবে কিছু সাধারণ কাগজপত্র রয়েছে যেগুলো সকল দেশের জন্য আবশ্যিক। সেটা আপনি যেকোন দেশে ভ্রমণ করুন না কেন!
ভিসা করতে কি কি লাগে?
নিম্নে এমন কিছু আবশ্যিক কাগজপত্রের তালিকা উল্লেখ করা হলো বিশ্বের কোন দেশের ভিসা আবেদন করতে আবশ্যিক লাগবে:
- একটি বৈধ পাসপোর্ট কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদি
- ভিসা আবেদন পত্র
- সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ভিসার উদ্দেশ্য প্রমাণপত্র (মেডিকেল, স্টুডেন্ট, ওয়ার্ক পারমিট, ভিজিট)
- পুলিশের ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- মেডিকেল সার্টিফিকেট
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- করোনা টিকা সনদ (সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)
- জন্ম নিবন্ধন সনদ
- আর্থিক সাপোর্টের প্রমাণপত্র (ব্যাংক স্টেটমেন্ট)
ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভিসার ধরন, আবেদনকারীর জাতীয়তা, এবং ভ্রমণের উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে ভিসা স্কুল/কলেজের ভর্তি সনদ, আবেদনকৃত প্রতিষ্ঠানের অফার লেটার, ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট ইত্যাদি লাগতে পারে।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ক্ষেত্রে কোম্পানির চুক্তিপত্র লাগবে। মেডিকেল ভিসার ক্ষেত্রে অবশ্যই মেডিকেল কাগজপত্র লাগবে। আর ভিজিট ভিসার ক্ষেত্রে পূর্বে কোন দেশ ভ্রমণের ইতিহাস, ভ্রমণের উদ্দেশ্য ইত্যাদি তথ্য ও ডকুমেন্টস লাগতে পারে।
ভিসা কিভাবে করতে হয়?
ভিসা করার প্রক্রিয়া আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য, গন্তব্য দেশ এবং আপনি কোন দেশের নাগরিক তার উপর নির্ভর করে থাকে।
সাধারণভাবে ভিসা করার জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হয়:
প্রথম ধাপ: দেশ নির্বাচন
প্রথমে আপনাকে স্থির করতে হবে কোন দেশের ভ্রমন করবেন সেটি। এরপর পরবর্তী ধাপের জন্য অগ্রসর হতে হবে। ভিসা করার প্রক্রিয়া এবং কাগজপত্র দেশ ও উদ্দেশ্য ভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে।
দ্বিতীয় ধাপ: ভিসা ক্যাটাগরি নির্বাচন
দেশ সিলেক্ট করার পর ভিসা ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে হবে। ভ্রমণের উদ্দেশ্য অনুযায়ী ভিসা ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে হবে। ভ্রমণ, ব্যবসায়, শিক্ষা, চিকিৎসা ইত্যাদি কারণে সাধারণত অস্থায়ী ভিসা করা হয়। যেমন: স্টুডেন্ট ভিসা, মেডিকেল ভিসা, ভিজিট ভিসা ইত্যাদি। যদি আপনি স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান তাহলে অভিবাসী ভিসা করতে হবে। এছাড়া কাজের উদ্দেশ্যে বা চাকরির উদ্দেশ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করা যায়।
তৃতীয় ধাপ: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ
এই ধাপে আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। এজন্য প্রথমে দেশ এবং ভিসা ক্যাটাগরি নির্বাচন করে নিতে হবে। ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আলাদা হয়ে থাকে। তবে কিছু আবশ্যিক কাগজপত্র রয়েছে যেগুলো সব ধরনের ভিসার জন্য প্রযোজ্য। উদাহরণস্বরূপ:বৈধ পাসপোর্ট, ছবি, ভিসা আবেদন ফর্ম, আবেদন ফি ইত্যাদি। এজন্য আপনাকে জানতে হবে ভিসা করতে কি কি লাগে। যেটা সম্পর্কে আমরা শুরুতে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
চতুর্থ ধাপ: ভিসা আবেদন
ভিসা আবেদন অনলাইন এবং অফলাইন দুইভাবে করা যায়। যে দেশে যেতে চান সে দেশের সরকারি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট ব্যবহার করে অনলাইন ভিসা আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন। অফলাইনে দূতাবাসে গিয়ে ভিসা আবেদন সম্পন্ন করতে পারেন। এজন্য অবশ্যই সেই দেশের ভিসা আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে। এই ধাপটি সম্পন্ন করতে অবশ্যই অভিজ্ঞ লোকের শরণাপন্ন হবেন। প্রয়োজনে বিশ্বস্ত এজেন্সির সহায়তা নিবেন।
পঞ্চম ধাপ: সাক্ষাৎকার প্রদান
কিছু কিছু দেশ ভিসা অনুমোদন প্রদানের পূর্বে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে থাকে। এজন্য আপনাকে উক্ত দেশের দূতাবাসে গিয়ে সাক্ষাৎকার দেওয়া লাগতে পারে। সাক্ষাৎকারের সময় সাধারণত আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা এবং আর্থিক সামর্থ্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়।
ষষ্ঠ ধাপ: কাঙ্খিত ভিসা সংগ্রহ
সাক্ষাৎকার প্রদানের পর ভিসা অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। অনুমোদন পেলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কাঙ্খিত ভিসাটি সংগ্রহ করতে পারবেন। ভিসা প্রসেসিং সময় দেশভেদে ভিন্ন হতে পারে।
আশা করছি, ভিসা কিভাবে করতে হবে এবং ভিসা করতে কি কি লাগে জেনে উপকৃত হয়েছে। এই পোস্ট সম্পূর্ণ পড়ার পরেও যদি কোন ধরনের জিজ্ঞাসা থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য। পরিশেষে, আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
ইউরোপ ভিসা সম্পর্কিত আর্টিকেল পড়ুন
ক্রমিক নম্বর | আর্টিকেল লিংক |
---|---|
১ | ইতালিতে বৈধ হওয়ার উপায় |
২ | ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায় |
৩ | ইতালি যেতে কত টাকা লাগে |
৪ | ইতালিতে বেতন কত |
৫ | ইউরোপে যাওয়ার সহজ উপায় |
I want a warkparmit Visa in australia. I shall job in fruits garden.
Please contact with a loyal agency. We don’t provide any kind of visa. We only provide visa guideline info. Thank you!
বিশ্বস্ত এজেন্সির সহযোগিতা নিন।
tell me any question
Visa abedon form kothay pabo???
Collect from official website.