জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কত টাকা লাগে জেনে নিন

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ এতে ভুল থেকে গেলে ভবিষ্যতে বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

এসব অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে চাইলে অবশ্যই যথাসময়ে নিজের জন্ম সনদ সংশোধন করে নেয়া উচিত।

ভুল তথ্য দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র ও সার্টিফিকেট তৈরি হলে গেলে সেগুলো পরবর্তীতে সংশোধন করা অনেক কঠিন এবং খরচের ব্যাপারও রয়েছে।

এই জন্ম নিবন্ধনের তথ্য পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন পরীক্ষায় ব্যবহার করা হয় এবং জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরিতেও এটি কাজে লাগে। এছাড়া কেউ বিদেশে যেতে চাইলে তখন পাসপোর্টের প্রয়োজন হয়।

আর পাসপোর্ট বানাতে অবশ্যই জন্ম সনদ লাগে। গুরুত্বপূর্ণ এই সনদ একজন ব্যক্তির ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত পরিচয়পত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তবে যেকোনো ধরনের ভুল হলে খুব বেশি উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

এখন ঘরে বসে খুব সহজে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন করা যায়। এজন্য আপনাকে জানতে হবে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কত টাকা লাগে এবং কি কি কাগজ লাগে। এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কত টাকা লাগে

জন্ম সনদ সংশোধন করার ফি চালান কিংবা অনলাইন পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করে সম্পন্ন করা যায়। ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গেলে অনেক সময় বেশি টাকা দাবি করে থাকে।

এক্ষেত্রে তারা নানারকম কারণ দেখিয়ে থাকে। তবে  সনদ সংশোধনের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি হলো ৫০ থেকে ১০০ টাকা। এটা স্থানভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে।

অনলাইনে ভুল সংশোধন আবেদন, পেমেন্ট এবং সংশোধনের সর্বশেষ অবস্থা দেখার জন্য bdris নামক সরকারি ওয়েবসাইটে লগইন করা লাগবে। পাশাপাশি আরও জেনে নিবেন কি কি কাগজ লাগে এবং কতদিন সময় লাগে।

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কি কি লাগে?

জন্ম নিবন্ধনে কয়েক ধরনের ভুল সংশোধন লক্ষ্য করা যায়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • নিজের নাম
  • পিতা-মাতার নাম
  • বর্তমান ঠিকানা
  • স্থায়ী ঠিকানা
  • জন্ম তারিখ

ভুলের ধরনের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন প্রকার কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়ে। আপনি কি ধরনের সংশোধন করতে চান সেটা জেনে সেই ধরনের সংশোধন করতে কোন কোন কাগজপত্র লাগে সেটা জানতে হবে।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

  • আবেদনকারীর অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম নিবন্ধন
  • সঙ্গে পিতা-মাতার অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম নিবন্ধন
  • শিক্ষা সনদ (যদি থাকে)
  • টিকা সনদ অথবা মেডিকেল সার্টিফিকেট
  • যদি পিতা-মাতা মৃত হয় তাহলে মৃত্যু সনদ
  • একটি সচল মোবাইল নম্বর লাগতে পারে (নতুন আবেদনের সময় ব্যবহৃত)
  • চেয়ারম্যান অথবা কাউন্সিলরের প্রত্যয়ন পত্র
  • পরিশোধকৃত খাজনা-কর রশিদ
  • প্রমাণের জন্য অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার ওয়েবসাইট ব্যবহার করে অনলাইনে ঘরে বসেই আপনার যেকোনো ধরনের ভুল সংশোধন করার আবেদন করতে পারবেন। এসব কাগজপত্র থাকলে যেকোনো ধরনের ভুল সংশোধন করতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কতদিন সময় লাগে?

ঘরে বসে অনলাইনে কয়েক দিনের মধ্যে জন্ম সনদ সংশোধন করা সম্ভব। এজন্য আপনাকে অনলাইনে সঠিকভাবে সংশোধন আবেদন সাবমিট করতে হবে।

এ বিষয়ে আমাদের আর্টিকেল লেখা আছে যেটা ভালোভাবে দেখলে বুঝতে পারবেন। সকল তথ্য এবং প্রমাণাদির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিক থাকলে ১০ থেকে ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে আপনি সংশোধনকৃত সনদটি হাতে পেয়ে যাবেন।

তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে একটি সনদ চারবারের বেশি সংশোধন করার সুযোগ পাবেন না। তাই আপনাকে সঠিকভাবে সকল তথ্য লিপিবদ্ধ করতে হবে। যাতে দ্বিতীয়বার আর কোন ধরনের ভুল সংঘটিত না হয়। কারণ এ ধরনের কাজে অনেক দৌড়াদৌড়ি করতে হয়।

Leave a Comment