ব্রুনাই ভিসার দাম কত (যেতে কত টাকা লাগে) [বিস্তারিত]

ব্রুনাই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বোর্নিও দ্বীপের উত্তর উপকূলে অবস্থিত। এর উত্তরে দক্ষিণ চীন সাগর এবং বাকি তিন দিকে মালয়েশিয়া দ্বারা পরিবেষ্টিত। এটি মালয় রাজতন্ত্রের অধীনে একটি ইসলামী রাষ্ট্র। এই দেশের অর্থনীতি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস সম্পদের উপর নির্ভরশীল। তবে এদেশের মাথাপিছু আয় অনেক বেশি। যার কারণে কাজের জন্য এই দেশে গেলে উন্নত জীবনযাত্রার মান এবং সামাজিক নিরাপত্তা পাবেন।

তাই যারা কাজের উদ্দেশ্য এই দেশে যেতে চান তারা অবশ্যই ব্রুনাই ভিসার দাম কত জেনে নেবেন। তাহলে ব্রুনাই যেতে কত টাকা লাগে আনুমানিক একটি ধারণা পেয়ে যাবেন। ফলে দালাল এবং এজেন্সির লোকেরা আপনার কাছ থেকে বেশি টাকা নিতে পারবে না। অনেক সময় বেশি বেতনের লোভ দেখিয়ে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিয়ে থাকে। এজন্য আপনাকে আরও জেনে নিতে হবে ব্রুনাই বেতন কত। তাহলে আপনার আর প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।

ব্রুনাই ভিসার দাম কত

ব্রুনাই ভিসা ক্যাটাগরি, নাগরিকত্ব এবং ভিসার মেয়াদের উপর নির্ভর করে ভিসার দামের তারতম্য হয়ে থাকে। আপনি ভিসার দাম জানতে পারলেই অনুমান করতে পারবেন ব্রুনাই যেতে কত টাকা লাগে। কারণ এই দুইটি বিষয়ের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। একেকজন একেক কিওয়ার্ড লিখে গুগলে সার্চ করে থাকে।

ব্রুনাই সরকার বিভিন্ন ধরনের ভিসা অফার করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে টুরিস্ট, স্টুডেন্ট, ওয়ার্ক পারমিট, ব্যবসায়িক এবং মেডিকেল ভিসা ইত্যাদি। আপনাকে উদ্দেশ্য অনুযায়ী সঠিক ভিসা ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে হবে। নিজে নিজে আবেদন করে যেতে পারলে খরচ অনেক কম লাগবে। তবে দালাল এবং বিভিন্ন এজেন্সির সাহায্য নিলে খরচ কয়েকগুণ বেশি পড়ে। নিচের টেবিলে ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী ব্রুনাই ভিসার দাম কত সেটা উল্লেখ করা হলো:

ব্রুনাই যেতে কত টাকা লাগে (আনুমানিক)
ক্রমিক নম্বর ভিসা ক্যাটাগরি ভিসার দাম (টাকা)
স্টুডেন্ট ভিসা ১,০০,০০০ – ২,৫০,০০০
টুরিস্ট ভিসা ৮০,০০০ – ১,৫০,০০০
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২,০০,০০০ – ৪,০০,০০০
ব্যবসায়িক ভিসা ১,০০,০০০ – ২,০০,০০০
মেডিকেল ভিসা ৮০,০০০ – ১,২০,০০০

ব্রুনাই ভিসা প্রসেসিং করার নিয়ম

ব্রুনাই ভিসা আবেদন করার জন্য আপনাকে প্রথমে প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় এই কাগজপত্র ভিন্ন হতে পারে। শুধু ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করার ক্ষেত্রে কোম্পানির অফার লেটার লাগবে। ওয়ার্ক পারমিটের অনুমতি ছাড়া ব্রুনাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করতে পারবেন না।

ব্রুনাই যাওয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে আপনাকে নিকটস্থ ব্রুনাই দূতাবাসে যোগাযোগ করতে হবে। সেখানে গিয়ে আপনাকে আবেদনপত্র এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। সাথে অবশ্যই আপনাকে ভিসা আবেদন ফি পরিশোধ করতে হবে। ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী এই ফি পরিবর্তন হতে পারে।এরপর ভিসা প্রসেসিং হতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। ভিসার আবেদন অনুমোদন নিশ্চিত নয়। কারণ কখনো আপনার ভিসা আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করা হতে পারে।

আবেদন প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরিবর্তন হতে পারে। তাই সর্বশেষ সঠিক তথ্যের জন্য ব্রুনাই দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। এভাবে ব্রুনাই ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন করতে হয়। এ বিষয়ে আরও সঠিক তথ্য পেতে একজন ব্রুনাই প্রবাসীর সহযোগিতা নিন। প্রয়োজনে বিশ্বস্ত কোন এজেন্সির সাহায্য নিতে পারে।

ব্রুনাই যেতে প্রয়োজনীয় যেসব কাগজপত্র লাগে সেগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

  • একটি বৈধ পাসপোর্ট
  • পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
  • স্কিল সার্টিফিকেট
  • কাজের অভিজ্ঞতা সার্টিফিকেট
  • পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
  • মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
  • জাতীয় পরিচয় পত্র
  • আর্থিক সাপোর্ট ডকুমেন্টস (ব্যাংক স্টেটমেন্ট)
  • অন্যান্য সহায়ক কাগজপত্র

ব্রুনাই যেতে কত বছর বয়স লাগে

কাজের জন্য এই দেশে যেতে হলে আপনাকে জানতে হবে সর্বনিম্ন বয়সসীমা। নতুবা আবেদন করেও এই দেশের ভিসার অনুমোদন পাবেন না। কারণ প্রতিটি দেশে নাগরিকদের কাজ করার ন্যূনতম বয়স সীমা রয়েছে।

যেমন: বাংলাদেশে ১৮ বছরের নিচে কেউ অফিসিয়ালি কোন ধরনের কাজ করতে পারবে না। তেমনি এই দেশেও ১৮ বছরের কম বয়সী কেউ কাজ করতে পারবে না। অন্যদিকে ৪৫ বছরের বেশি বয়সী ব্রুনাই কাজের ভিসা পাবেন না। তবে এই দেশে কাজ করতে যাওয়ার জন্য আপনার বয়স ২১-৪৫ বছর হলে উত্তম হবে।

2 thoughts on “ব্রুনাই ভিসার দাম কত (যেতে কত টাকা লাগে) [বিস্তারিত]”

  1. বাংলাদেশ থেকে ব্রুনাই যেতে পেইন্টার অথবা জিপসাম এর কাজের হেলপারের ভিসা কত টাকা খরচ হবে

    Reply

Leave a Comment