দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বুকে, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং লাওসের সীমান্তে অবস্থিত কম্বোডিয়া। প্রাচীন খ্যাতিমান খেমার সভ্যতার উত্তরাধিকারী এই দেশটিতে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। তবে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই কম্বোডিয়া কাজের বেতন সম্পর্কে ধারণা নেওয়া উচিত। পাশাপাশি আরও জানতে হবে কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে।
কম্বোডিয়ার অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গার্মেন্টস, পর্যটন, নির্মাণ, কৃষি ইত্যাদি খাতে প্রচুর কাজের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।বাংলাদেশের তুলনায় কম্বোডিয়ায় কাজের বেতন বেশি। দক্ষ কর্মীরা দেশটিতে ভালো বেতন ও সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন। বিস্তারিত জানতে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
কম্বোডিয়া কাজের বেতন কত
বর্তমানে অনেক বাংলাদেশী কম্বোডিয়ায় কর্মসংস্থানের সুযোগের প্রতি আগ্রহী। নতুন দেশে কাজ শুরু করার আগে কম্বোডিয়া কাজের বেতন সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা অত্যাবশ্যক।এই দেশে বাঙালিদের বেতন তাদের কাজ, যোগ্যতা, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে থাকে। এছাড়া কম্বোডিয়া কাজের বেতন নির্দিষ্ট শহর, কোম্পানি ও পদের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
আরও পড়ুন: ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত দেশের তালিকা
বেতনের সাথে থাকা ও খাওয়ার মত মৌলিক সুবিধাও প্রদান করা হয়। তুলনামূলকভাবে কম সংখ্যক বাংলাদেশি কাজের জন্য কম্বোডিয়ায় যায়। কম্বোডিয়াতে কাজের সর্বনিম্ন বেতন ৩০,০০০ টাকা। তবে গ্রামের তুলনায় শহরে কাজ করলে বেশি বেতন পাওয়া যায়।
ক্রমিক নম্বর | কাজের ধরন | মাসিক বেতন (টাকায়) |
---|---|---|
১ | কম্পিউটার অপারেটর (অভিজ্ঞ) | ১,০০,০০০-৩,০০,০০০ |
২ | কম্পিউটার অপারেটর (অনভিজ্ঞ) | ৫০,০০০-১,০০,০০০ |
৩ | ফুড প্যাকেজিং | ৪০,০০০-৫০,০০০ |
৪ | কনস্ট্রাকশন | ৩০,০০০-৫০,০০০ |
৫ | পরিচ্ছন্নতা কর্মী | ৩০,০০০-৪০,০০০ |
৬ | হোটেল ও রেস্টুরেন্ট | ৫০,০০০-৬০,০০০ |
৭ | কৃষিকাজ | ৩৫,০০০-৪৫,০০০ |
আরও পড়ুন: ইউরোপের কোন দেশে বেতন বেশি এবং কোন কাজের চাহিদা বেশি
কম্বোডিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
কম্বোডিয়ায় কর্মসংস্থানের সুযোগের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে বাংলাদেশীদের মধ্যে। নতুন দেশে কাজ শুরু করার আগে কম্বোডিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি এবং উদীয়মান শিল্পের কারণে কম্বোডিয়ায় আজকাল চাকরির বাজারে প্রচুর সুযোগ রয়েছে।
বিশেষ করে তথ্য প্রযুক্তি, পর্যটন, নির্মাণ এবং কৃষি ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীর চাহিদা বেশি। কম্বোডিয়ায় অবকাঠামো উন্নয়নের সাথে সাথে, নির্মাণ শিল্পে দ্রুত প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। এজন্য নির্মাণ শ্রমিক, ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার এবং মেশিন অপারেটরদের কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কিছু চাহিদা সম্পন্ন কাজের তালিকা:
- কনস্ট্রাকশন
- ফুড প্যাকেজিং
- হোটেল ও রেস্টুরেন্ট
- পরিচ্ছন্নতা কর্মী
- কৃষিকাজ
কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই মনোরম দেশটিতে কাজের সুযোগের কথা শুনে অনেকেই উচ্ছ্বসিত। কম্বোডিয়ার অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং নতুন নতুন শিল্পের প্রসারের সাথে সাথে বিদেশি দক্ষ কর্মীর চাহিদাও বাড়ছে। কিন্তু স্বপ্ন পূরণের আগে বাস্তবতার কথাও ভাবতে হবে। এজন্য কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে? এই প্রশ্নের উত্তর জানা অত্যন্ত জরুরি।
কম্বোডিয়া যাওয়ার খরচ ভিসা ক্যাটাগরির নির্ভর করে থাকে। তাই ভিসা খরচ একেবারে সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়। কারণ এজেন্সি ও দালাল অনুযায়ী ভিসা খরচের তারতম্য হয়ে থাকে। তবে ধারণা অবশ্যই পাবেন।
ক্রমিক নম্বর | ভিসা ক্যাটাগরি | ভিসার দাম (টাকা) |
---|---|---|
১ | কাজের ভিসা | ৪,০০,০০০-৮,০০,০০০ |
২ | টুরিস্ট ভিসা | ২,০০,০০০-৩,০০,০০০ |
৩ | স্টুডেন্ট ভিসা | ২,০০,০০০-৪,০০,০০০ |
কম্বোডিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে
কম্বোডিয়ায় প্রবেশের জন্য ভিসার প্রয়োজন। ভিসার ধরনের উপর নির্ভর করে বয়সের সীমাবদ্ধতা থাকে।
- টুরিস্ট ভিসা: ১৮ বছর বা তার বেশি
- ব্যবসায়িক ভিসা: ১৮ বছর বা তার বেশি
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা: ২১ বছর বা তার বেশি
- স্টুডেন্ট ভিসা: ১৮ বছর বা তার বেশি
- রিটায়ারমেন্ট ভিসা: ৫৫ বছর বা তার বেশি
১৮ বছরের কম বয়সী শিশুরা তাদের পিতা-মাতা অথবা অভিভাবকের সাথে ভ্রমণ করলে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ইউরোপে যাওয়ার সহজ উপায়