দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত ২০২৪

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ঝলমলে শহর দুবাই। শহরটি ব্যবসা-বাণিজ্য ও কাজের ক্ষেত্রে আজকের দিনে অপরিহার্য নাম। পারস্য উপসাগরের দক্ষিণ-পূর্ব তীরে অবস্থিত এই শহরটি তার আকাশচুম্বী ভবন, বিলাসবহুল শপিং মল ও অত্যাধুনিক অবকাঠামোর জন্য বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছে। দুবাইয়ের প্রাণ কোম্পানিগুলো। বিভিন্ন খাতে অসংখ্য কোম্পানি নিয়মিতভাবে দক্ষ ও অভিজ্ঞ শ্রমিক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেয়।

আকর্ষণীয় বেতনের সুযোগ অনেককেই দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে টানে। কিন্তু দুবাই কোম্পানি ভিসায বেতন কত হবে? এই প্রশ্নটি অনেকের মনেই ঘুরপাক খায়। কোন এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে ভিসা করলে সঠিক বেতনের খবর পাওয়া সহজ নয়। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করবো দুবাই কোম্পানি ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু।

দুবাই কোম্পানি ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

দুবাইয়ে কাজের সুযোগের জন্য ভিসা করার আগ্রহ অনেকেরই রয়েছে। আকর্ষণীয় বেতন ও জীবনযাত্রার মান অনেককেই আকৃষ্ট করে। কোম্পানি ভিসা হলো দুবাইতে কাজ করার অন্যতম প্রধান মাধ্যম। দুবাই এই ভিসায় গিয়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে রয়েছে কনস্ট্রাকশন, ড্রাইভিং, মেকানিক, প্লাম্বিং, ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার ইত্যাদি।

আপনি যদি দুবাই কোম্পানি ভিসা আবেদন করতে চান তবে নিম্নে উল্লেখিত ধাপগুলো অনুসরণ করে ভিসা প্রসেসিং করতে হবে:

  • প্রথমে আপনাকে কোম্পানি ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
  • এরপর আপনাকে সরকার অনুমোদিত বিশ্বস্ত কোন এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
  • বিশ্বস্ত কোন এজেন্সি খুঁজে পেলে তাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে দিতে হবে।
  • এজেন্সি আপনার পক্ষ থেকে আরব আমিরাতের কোন দূতাবাসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিবে।
  • দূতাবাস ভিসার অনুমোদন দিলে এজেন্সির কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। হাতে পাওয়া মাত্র দুবাই ভিসা চেক করেবন।

দুবাই কোম্পানি ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  • বৈধ পাসপোর্ট
  • ভিসা আবেদন ফর্ম (পূরণকৃত ও স্বাক্ষরিত)
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • কাজের যোগ্যতার সনদপত্র (যদি থাকে)
  • কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত (যদি থাকে)
  • মেডিকেল পরীক্ষার সনদ (কোম্পানি নির্ধারিত)
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট

দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত

দুবাই বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় প্রবাসী গন্তব্য। উচ্চ বেতন, করমুক্ত আয়, উন্নত জীবনযাত্রার মান এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা শহরটিকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। কোম্পানি ভিসা হলো দীর্ঘমেয়াদী কাজের জন্য শহরটিতে প্রবেশের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। দুবাই কোম্পানি ভিসাতে গেলে বিভিন্ন ধরনের কাজ করা যায়। কাজ ভেদে দুবাই কোম্পানি ভিসার বেতন প্রায় ৬০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা হয়ে থাকে। ওভারটাইম বেশি করতে পারলে কোম্পানি ভিসার বেতন বেশি পাবেন। নতুন অবস্থায় অদক্ষ শ্রমিকদের বেতন কম হয়ে থাকে। তবে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা বাড়লে কাজের বেতন বেশি হয়। কাজের উদ্দেশ্যে দেশটিতে যাওয়ার আগে দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি জেনে নিবেন।

দুবাই কোম্পানি ভিসা কত টাকা

সরকারিভাবে গেলে কোম্পানি ভিসার দাম ৩ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। তবে বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে গেলে এই খরচ উঠতে পারে ৫ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। কোম্পানি যদি শ্রমিক নিয়োগ করে তাহলে বাংলাদেশী নাগরিকেরা স্পন্সর ভিসা পাবেন। এই ভিসাটি মূলত কোম্পানি ভিসা নামে পরিচিত। কিছু ভাগ্যবান নাগরিক ভিসা তৈরি ও বিমান ভাড়া সহ পুরো খরচ কোম্পানির মাধ্যমে ভোগ করতে পারেন। তবে এই সুযোগ সকলের জন্য উন্মুক্ত নয়।

আরও পড়ুন: দুবাই যেতে কত বছর বয়স লাগে

Leave a Comment