এখন অনলাইনে ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড করা যাবে মাত্র ২ মিনিটে। বাংলাদেশের নাগরিকরা নতুন ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ার পর চাইলে জরুরী প্রয়োজনে ভোটার স্লিপ দিয়ে এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবে। বাংলাদেশ সরকারের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা যায়। সাধারণত দুই নিয়মে এনআইডি কার্ড নির্বাচন কমিশনার ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।
যারা নতুন ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন তারা চাইলে অনলাইনে ভোটার স্লিপ দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। তাছাড়া যাদের ইতোমধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে তারা চাইলে এনআইডি কার্ডের নাম্বার দিয়ে অনলাইন কপি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এই পদ্ধতিতে অনলাইনে যে কেউ এনআইডি কার্ড চেক করতে পারবেন। পাশাপাশি জরুরী প্রয়োজনে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে ভোটার স্লিপ দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম জানতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে কী কী প্রয়োজন?
ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য নিম্নে উল্লেখিত ডকুমেন্টস ও তথ্যের প্রয়োজন হবে:
- এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য দুটি ডিভাইসের প্রয়োজন হবে। তবে ভালো স্মার্টফোন হলে একটি ডিভাইস দিয়ে কাজ চালানো যাবে।
- ওয়াইফাই কিংবা ইন্টারনেট কানেকশন
- একটি সচল মোবাইল ফোন নাম্বার (ভোটার নিবন্ধনের সময় যে নাম্বারটি দিয়েছিলেন সেটি হলে ভালো হয়)
- এনআইডি কার্ডের নাম্বর কিংবা ভোটার স্লিপ নাম্বার
- এনআইডি কার্ড অনুযায়ী জন্ম তারিখ
- বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা
আরও পড়ুন: পুরাতন আইডি কার্ড চেক করুন অনলাইনে
ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
এখন ঘরে বসে খুব সহজে অনলাইন থেকে এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে বাংলাদেশ সরকারের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে হবে। স্লিপ নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য আপনাকে নিম্নে উল্লেখিত ধাপগুলো ধারাবাহিকভাবে অনুসরণ করতে হবে:
- প্রথমে আপনাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। আপনার যদি আগে থেকে অ্যাকাউন্ট তৈরি করা থাকে তাহলে লগইন করতে হবে। লগইন করার জন্য আপনাকে এই services.nidw.gov.bd লিংকে ক্লিক করে প্রবেশ করতে হবে। নতুন হলে অবশ্যই “রেজিস্ট্রেশন করুন” অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- আপনার যদি জাতীয় পরিচয়পত্র থাকে তাহলে অনলাইনে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। এনআইডি কার্ড না থাকলে ফরম নাম্বার তথা স্লিপ নাম্বার দিয়ে একাউন্ট তৈরি করা যায়।
- রেজিস্ট্রেশন অপশনে ক্লিক করার উপরের ছবির মত ফর্ম পাবেন সেটি ফিলাপ করতে হবে। এই ফর্ম ফিলাপ করার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার বা ফরম নাম্বর, জন্ম তারিখ এবং ক্যাপচা সমাধান করতে হবে। তারপর “সাবমিট” লেখায় ক্লিক করতে হবে।
- সাবমিট অপশনে ক্লিক দিয়ে পরবর্তীতে পেইজে আপনাকে বর্তমান ও অস্থায়ী ঠিকানার তথ্য দিয়ে একটি সচল মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন করে বসাতে হবে।
- এবার আপনার সামনে নতুন একটি ইন্টারফেস চলে আসবে। “Tap To Open NID Wallet” লেখায় ক্লিক করুন। তাহলে মোবাইল অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড শুরু হবে। যারা আগেই ডাউনলোড করে রেখেছেন তাদের সিলেক্ট করে দিতে হবে। অবশ্যই সকল প্রকার পারমিশন দিয়ে নিবেন।
- নতুন পেইজে নিয়ে এসে আপনার ফেইস স্ক্যান করা হবে। “Start Face Scan” অপশনে ক্লিক করে নিজের ফেইস স্ক্যান করে নিবেন। স্ক্যান করার সময় আপনাকে নির্দেশনা মোতাবেক নিজের মুখ মন্ডল ঘোরাতে হবে।
- ফেইস স্ক্যান করা হয়ে গেলে এনআইডি ডিটেলস চলে আসবে। এখন আপনি চাইলে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাই করার পাশাপাশি ডাউনলোড করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, অনলাইন থেকে ডাউনলোডকৃত এনআইডি কার্ডের কপি যে কোন প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন, এটা আসল এনআইডি কার্ড নয়। আসল ভোটার আইডি কার্ড আপনি ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।