কুয়েত পশ্চিম এশিয়ার মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত একটি ছোট্ট দেশ। ইরাক এবং সৌদি আরবের সাথে এই দেশের সীমানা রয়েছে। অর্থনীতি তেল ও গ্যাস সম্পদের উপর অত্যন্ত নির্ভরশীল। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল রিজার্ভের দেশ। উন্নত এই দেশে যারা বিভিন্ন ধরনের কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তাদের অবশ্যই কুয়েত বেতন কত জানা উচিত। পাশাপাশি আপনাকে আরো জানতে হবে কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি।
এই দুটি ইনফরমেশন জেনে যারা কুয়েতে যাবেন তাদের আশা করি কাজের অভাব হবে না এবং বেশি বেতনে কাজ করতে পারবেন। কুয়েতে যেসব কাজে চাহিদা রয়েছে সেগুলো জেনে যদি আগে থেকেই স্কিল অর্জন করতে পারেন তাহলে ভালো বেতনে কাজ করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং বেতন বেশি জানতে হবে।
কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত
এশিয়া মহাদেশের দেশগুলো সাধারণত ইউরোপের তুলনায় কর্মীদের কম বেতন প্রদান করে থাকে। কুয়েতেও এর ব্যতিক্রম নয়। প্রবাসীদের কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে থাকে। যেমন: চাকরির ধরন, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং কোম্পানি।
বর্তমানে প্রাইভেট সেক্টরে কুয়েতে সর্বনিম্ন মাসিক বেতন ২৫০ ডলার যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২৮,০০০ টাকা। দেশটিতে সাধারণত প্রবাসীদের বেতন তুলনামূলক কম দেওয়া হয়। এদেশে সপ্তাহে সাধারণত ৪৮ ঘন্টা কাজ করতে হয়। প্রতিদিন কাজের মাঝখানে ১ ঘন্টা বিরতি থাকে।
আরও পড়ুন: কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে
কুয়েত বেতন কত
কুয়েত বেতন কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে থাকে। দেশটিতে বহু ধরনের কাজ রয়েছে। কিছু কাজের বেতন অনেক বেশি হয়ে থাকে এবং কিছু কাজের বেতন তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। বিশেষ করে ক্লিনার ভিসার বেতন অনেক কম। আরব দেশে ক্লিনার ভিসা নিয়ে যাওয়া উচিত নয়।
আপনার যদি নিম্নে উল্লেখিত যেকোনো একটি কাজে ভালো দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে কুয়েতে গিয়ে প্রতি মাসে ভালো পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। কোম্পানি ভিসার বেতন ফিক্সড থাকে তাই ওভারটাইম ব্যতীত খুব বেশি টাকা ইনকামের সুযোগ নাই।
এজন্য আপনাকে ডিউটির পরে কাজ করতে হবে। তবে আপনার যদি উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে অনেক টাকা বেতন পাবেন। পাশাপাশি অবশ্যই জেনে নেবেন কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি। তাহলে কুয়েতে গিয়ে আপনাকে কাজ খুঁজতে হবে না।
ক্রমিক নম্বর | কাজ | বেতন (টাকা) |
---|---|---|
১ | মোবাইল মেকানিক | ১,৭০,০০০-২,০০,০০০ |
২ | ইলেকট্রিশিয়ান | ১,০৫,০০০-১,৪০,০০০ |
৩ | গাড়ি মেকানিক | ১,০০,০০০-২,৫০,০০০ |
৪ | এসি টেকনিশিয়ান | ১,০০,০০০-৩,৫০,০০০ |
৫ | টেইলার | ১,০০,০০০-১,৫০,০০০ |
৬ | ড্রাইভিং | ৬৫,০০০-১,৬০,০০০ |
৭ | ক্লিনার | ৩০,০০০-৬০,০০০ |
৮ | কনস্ট্রাকশন (রাজমিস্ত্রি, পাইপ ফিটিং, ওয়েল্ডিং, রড মিস্ত্রি) | ১,০০,০০০-২,০০,০০০ |
আরও পড়ুন: কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত
কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি
কুয়েতে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে। তবে দক্ষ জনশক্তিও রয়েছে। তাই দেশটিতে যাওয়ার আগে জেনে নিতে হবে কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি। তাহলে আগে থেকেই যেকোনো একটি কাজে দক্ষতা অর্জন করার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।
কারণ যেকোনো দেশে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ কর্মীদের চাহিদা রয়েছে। এছাড়া আপনি দক্ষ এবং অভিজ্ঞ হলে প্রথম থেকেই বেতন বেশি পাবেন। আর আপনার নতুন অবস্থায় কাজের অভাব হবে না। কুয়েতে যেসব কাজের চাহিদা রয়েছে তা নিম্নরূপ:
- কনস্ট্রাকশন
- ইলেকট্রিশিয়ান
- মেকানিক
- শেফ
- ড্রাইভিং
- ক্লিনার
- ওয়েল্ডার
- রাজমিস্ত্রি
- শপিংমল জব
- হোটেল ও রেস্টুরেন্ট জব
- কোম্পানি জব
- প্লাম্বার
আরও পড়ুন: কুয়েত যেতে বয়স কত লাগে
Nice