এখন ঘরে বসেই মোবাইল দিয়ে অনলাইনে চাইলে মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চেক করতে পারবেন। বর্তমানে বাংলাদেশে জাল ভিসার অনেক বেশি প্রচলিত রয়েছে। এজন্য মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চেক করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ এটি নিশ্চিত করে যে আপনার ভিসাটি আসল এবং বৈধ। এছাড়া আরও নিশ্চিত করে আপনি মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য যোগ্য । আপনার ভিসাটি নকল হলে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে পারেন। এজন্য সকলের উচিত আগে থেকে মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চেক করে নেওয়া।
চেক করে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন আপনার ভিসাটি সরকার কর্তৃক ইস্যু করা হয়েছে কিনা। তাই এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব, মালয়েশিয়া কলিং ভিসা কী, আবেদন প্রক্রিয়া, চেক এবং সর্বশেষ ভিসা আপডেট নিয়ে। বিস্তারিত জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।
মালয়েশিয়া কলিং ভিসা কী?
মালয়েশিয়া কলিং ভিসা হলো এমন এক ধরনের ভিসা যেটি ভিনদেশী শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় কাজ করার অনুমতি (ওয়ার্ক পারমিট) দিয়ে থাকে। যেমন:
- কনস্ট্রাকশন ভিসা
- কৃষি ভিসা
- ফ্যাক্টরি ভিসা
- সার্ভিস ভিসা
মালয়েশিয়া কলিং ভিসা সাধারণত তিন প্রকারের হয়ে থাকে। যথা:
- এজেন্ট ভিসা
- কোম্পানি ভিসা
- ফ্রি ভিসা
এজেন্ট ভিসা: এজেন্ট ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া গিয়ে বৈধভাবে শ্রমিক হিসেবে কাজ করা যায়। সরকারিভাবে মালয়েশিয়া যেতে চাইলে অবশ্যই এজেন্ট ভিসার প্রয়োজন। এই ভিসা নিলে এজেন্টের কাছে আপনার পাসপোর্ট থাকবে তবে আপনার কাছে পাসপোর্টের ফটোকপি থাকবে। ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর প্রয়োজন হলে এজেন্টকে টাকা দিলে মেয়াদ বাড়িয়ে দিবে।
কোম্পানি ভিসা: বাংলাদেশের এজেন্সি মালয়েশিয়ার কোম্পানির সাথে চুক্তির মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। এই ভিসা সাধারণত কোম্পানি ভিসা হিসেবে পরিচিত। এই ভিসা নিলে কোম্পানির কাছে আপনার পাসপোর্ট থাকবে। কোম্পানি আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট কার্ড দিবে। তবে সুবিধা হলো কোম্পানি শ্রমিকের যাবতীয় খরচ বহন করে থাকে।
ফ্রি ভিসা: মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত পরিচিত ব্যক্তি বা আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে মালয়েশিয়া কাজের জন্য গেলে যে ভিসা দেওয়া হয় তাকে ফ্রি ভিসা বলা হয়। মালয়েশিয়া ফ্রি ভিসা বলে আসলে কোন ধরনের ভিসা নেই। মালয়েশিয়া পৌঁছালে পাসপোর্ট আপনার হাতে দেওয়া হবে। এরপর নিজ দায়িত্বে আপনাকে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা এবং কাজ খোঁজাখুঁজি ইত্যাদি করতে হবে।
মালয়েশিয়া কলিং ভিসা আবেদন
মালয়েশিয়া কলিং ভিসা পাওয়ার জন্য অবশ্যই প্রথমে আপনাকে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আপনার যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করে নিবন্ধন করতে হবে।
এরপর আপনি চাইলে অনলাইনে মালয়েশিয়া কলিং ভিসার আবেদন করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে মালয়েশিয়ার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। এরপর আবেদন ফরম ডাউনলোড করে আপনাকে পূরণ করতে হবে।
মালয়েশিয়া কলিং ভিসার আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে সেগুলো অবশ্যই আগে থেকে সংগ্রহ করে রাখতে হবে। ভিসা আবেদন করার জন্য ভিসা ফি লাগবে।
মালয়েশিয়া কলিং ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ মানুষের সহযোগিতা নিবেন কিংবা বিশ্বস্ত কোন এজেন্সির সহযোগিতা নিবেন। আরও জানতে পড়ুন মালয়েশিয়া কাজের বেতন কত।
মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চেক করার নিয়ম
মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চেক করার জন্য প্রথমে আপনাকে এই লিংকে ভিজিট করতে হবে। এরপর আপনি চাইলে নিচের তিনটি ইনফরমেশন দিয়ে ভিসা চেক করতে পারেন।
- Company Registration No.
- Application Number
- Employer Identification Card No.
মালয়েশিয়া কলিং ভিসা সাধারণত গ্রুপ আকারে দেওয়া হয়। আপনি চেকিং করার পর গ্রুপের সকলের নাম দেখতে পারবেন। এছাড়া ভিসার নাম্বার দেখতে পারবেন।
এপ্লিকেশন নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চেক করার জন্য প্রথমে আপনাকে অ্যাপ্লিকেশন নম্বরটি কলিং পেপার থেকে জেনে নিতে হবে। হুবহু যেরকম আছে সেরকমভাবে টাইপ করে তুলতে হবে আপনাকে। এছাড়া কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন নাম্বর দিয়েও একই পদ্ধতিতে আপনি চেক করতে পারবেন।
উপরের লিংকে ভিজিট করার পর আপনাকে কলিং পেপারে থাকা এপ্লিকেশন নাম্বারটি হুবহু বসাতে হবে। এরপর সার্চ অপশনে ক্লিক দিলে আপনার কাছে গ্রুপের সকলের ইনফরমেশন চলে আসবে। এভাবে আপনি মালয়েশিয়া কলিং খুব সহজেই ভিসা চেক করতে পারবেন।
মালয়েশিয়া কলিং ভিসা কবে চালু হবে
মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চালু হওয়ার ব্যাপারে বারবার তারিখ পরিবর্তন এবং অনিশ্চয়তার কারণে অনেকের মনেই হতাশা দেখা দিয়েছে। যদিও অনেক এজেন্সি বলছে এখনও মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চালু রয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতি:
- ২০২৩ সালের ডিসেম্বরেও মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চালু হয়নি।
- ২০২৪ সালে কলিং ভিসা চালু হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
- তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো আসেনি।
- আরও আপডেট সঠিক তথ্য পেতে বিশ্বস্ত কোন এজেন্সি কিংবা মালয়েশিয়ান প্রবাসীর হেল্প নিন।