বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কানাডা কৃষি ভিসা নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে মানুষ কানাডায় যাচ্ছে। উন্নত এই দেশে অন্যান্য কাজের মতই কৃষি কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কৃষি কাজের জন্য এই দেশে উন্নত মানের প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়।
কৃষি শ্রমিকদের কানাডায় ভালো মানের বেতন দেওয়া হয়ে থাকে। যার ফলে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ কানাডা কৃষি ভিসা নিয়ে উন্নত এই দেশে যেতে মরিয়া হয়ে থাকে।
প্রতি বছর সরকারিভাবে ও বেসরকারিভাবে সার্কুলার প্রকাশ করে কানাডা কৃষি শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। এজন্য নিয়মিত কানাডার বিভিন্ন জবের ওয়েবসাইটে নজর রাখতে হবে।
এই পোস্ট শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে কানাডা কৃষি ভিসা সম্পর্ক বিস্তারিত জানতে পারবেন। এছাড়া আবেদন করার নিয়ম, কি কি কাগজপত্র লাগে, ভিসা খরচ এবং বেতন কত ইত্যাদি তথ্য জানতে পারবেন।
কানাডা কৃষি ভিসা
কানাডা কৃষি ভিসা হলো এক ধরনের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যেটি কানাডায় কৃষি কাজের বৈধ অনুমোদন প্রদান করে থাকে। এই ধরনের ভিসায় আবেদন করতে হলে জব অফার লেটার লাগে। যেটা কানাডা থেকে নিয়োগ করতে আপনাকে প্রদান করবে।
অর্থাৎ যার অধীনে কাজ করবেন সেই মালিক আপনাকে জব অফার করে লেটার প্রদান করবে। এই লেটারে আপনার কাজ এবং বেতন উল্লেখ থাকবে।
এ ধরনের জব অফার লেটার বাধ্যতামূলক লাগবে আবেদন করার সময়। এটা আপনি পাবেন কানাডার বিভিন্ন জব ওয়েবসাইটে জব এর জন্য আবেদন করলে।
কানাডা কৃষি ভিসার মেয়াদ সাধারণত এক বছর হয়। আপনি এই ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করতে পারেন। আপনি যদি কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা পূরণ করে থাকেন, তাহলে আপনার কানাডা কৃষি ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
কানাডা কৃষি ভিসা হতে পারে কানাডায় কাজ করার এবং আপনার জীবনযাত্রার মান উন্নত করার দুর্দান্ত একটি সুযোগ। তাই আপনি সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় জেনে নিতে পারেন যাতে কানাডা গমন আরও সহজতর হয়।
কানাডা কৃষি ভিসা পেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
কানাডা এগ্রিকালচার ভিসা পাওয়ার জন্য অবশ্যই ভিসার আবেদন করতে হবে। এই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়ে। প্রয়োজনীয় এসব কাগজপত্র সঠিক না হলে ভিসা আবেদন বাতিল হয়ে যাবে।
- ব্যক্তিগত পরিচয়ের প্রমাণ (জন্ম নিবন্ধন, বিবাহ সনদ, জাতীয় পরিচয় পত্র)
- শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ
- স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
- কৃষি কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ
- আর্থিক সাপোর্টের প্রমাণ
- ছবি
- অনলাইন আবেদন ফর্ম
- পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকতে হবে
- কাজের চুক্তিপত্র
- জব অফার লেটার
- এলএমআইএ নাম্বার
কানাডা কৃষি ভিসা আবেদন করার নিয়ম
কানাডা এগ্রিকালচার ভিসা সঠিকভাবে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। যারা ইতিমধ্যে দেশের বাইরে কৃষি কাজের সাথে জড়িত আছে তাদের এ ধরনের ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
এছাড়া যারা বড় ধরনের কৃষি কাজের সাথে জড়িত রয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস রয়েছে তাদের ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেশি থাকে।
কানাডায় কৃষি কাজ সাধারণত সিজোনাল হয়ে থাকে। যার কারণে অস্থায়ী ভিসায় বিভিন্ন দেশ থেকে কৃষি শ্রমিকদের নিয়োগ করা হয়। সাধারণ নাগরিকেরা সাধারণত এ ধরনের ভিসা অনুমোদন পায় না।
যোগ্য ব্যক্তিরা কানাডা ভিসা আবেদন ফরম সংগ্রহ ও সঠিকভাবে পূরণ করে কানাডা কৃষি ভিসার জন্য আবেদন করবেন। কানাডা এগ্রিকালচার ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য, আপনাকে নিম্নলিখিত ধাপসমূহ অনুসরণ করতে হবে:
- প্রথমে আপনার করণীয় হলো কানাডার বিভিন্ন জব ওয়েবসাইট থেকে কৃষি কাজের জন্য আবেদন করা এবং জব অফার লেটার নিশ্চিত করা। কারণ জব অফার লেটার না পেলে কৃষি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। এটা হলো আবেদনের পূর্ব শর্ত।
- এরপর আপনাকে কানাডার সরকারি ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। ওয়েবসাইট লিংক: www.jobbank.gc.ca/home
- প্রয়োজনে কানাডার কোন লোকের সাহায্য নিতে পারেন। কানাডা যাওয়ার এজেন্সির সাহায্য নিতে পারেন।
- এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে কিংবা কানাডা দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে পারেন।
- সংগৃহীত আবেদন ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ করে এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংযুক্ত করে এজেন্সি কিংবা কানাডা দূতাবাসে জমা দিতে হবে।
- এরপর আপনাকে কানাডা কৃষি ভিসা ফি প্রদান করতে হবে। আবেদনের ফি হলো $255 কানাডিয়ান ডলার। আপনি আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় এই ফি প্রদান করতে পারেন। অবশ্যই অভিজ্ঞ কোন লোকের সহযোগিতা নিবেন। সব সময় দালাল কিংবা এজেন্সি থেকে দূরে থাকবেন।
কানাডা কৃষি কাজের বেতন কত
কানাডা সরকার প্রতিটি কাজের জন্য মজুরি নির্ধারণ করে দিয়েছে। এই দেশে সাধারণত প্রতি ঘন্টার চুক্তিতে মজুরি নির্ধারণ করা হয়। কানাডার সব কৃষি কাজের বেতন এক নয়। কারণ কৃষি কাজের ধরন, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অঞ্চলভেদে আলাদা হয়ে থাকে।
এসব মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে বেতনের তারতম্য হয়ে থাকে। কানাডায় কৃষি কাজের বেতন সাধারণত ঘন্টাপ্রতি ১৫ থেকে ২০ কানাডিয়ান ডলার হয়ে থাকে। একদিনে একজন কৃষি শ্রমিক সর্বোচ্চ ৮ ঘন্টা কাজ করতে পারে।
সেই হিসেবে মাসিক বেতন দাঁড়ায় ৩,৬০০ থেকে ৪,৮০০ কানাডিয়ান ডলার। বর্তমান কানাডিয়ান ডলার রেট অনুযায়ী ৩ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মধ্যে। কানাডায় কৃষি কাজের গড় বেতন প্রতি ঘন্টায় ১৮ কানাডিয়ান ডলারের বেশি।
কানাডা কৃষি ভিসা খরচ কত
স্বল্প খরচে কানাডা আসার অন্যতম সেরা ভিসা হলো কানাডা এগ্রিকালচার ভিসা। প্রতিবছর পর্যাপ্ত লোক কৃষি ভিসায় কানাডায় গিয়ে থাকে। এ ধরনের ভিসা করতে আনুমানিক প্রায় ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা লাগে। এ ধরনের ভিসা কানাডায় গিয়ে আপনি উন্নত ধরনের কৃষি কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারবেন। যেমন: উন্নত মানের কৃষি প্রযুক্তি চালনা, ফসল চাষাবাদ, খামার কিংবা ফার্ম দেখাশোনা করা ইত্যাদি।
কানাডা ভিসা সম্পর্কিত আরও আর্টিকেল পড়ুন
ক্রমিক নম্বর | আর্টিকেল লিংক |
---|---|
১ | সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় |
২ | কানাডা যাওয়ার খরচ কত |
৩ | কানাডায় কোন কাজের চাহিদা বেশি |
৪ | কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
৫ | কানাডায় সর্বনিম্ন বেতন কত |
How can I get to Canada I am very poor man it is impossible to raise so much money I really want to go otherwise my family will not survive. Everyone wants the family to survive. I can’t make any progress in life by being poor
I really want to go to Canada but how can I go I am poor my family condition is not good because of money I can not go to Canada I am very poor
Md. Salim
Chetora Begum
Father: deceased Md. Fazlul Karim
T @ T Kalani
House No. F 1/6 Second Floor
Thana Doublemooring
Post Office port
Agrabad Chittagon
বাড়ির ঠিকানা
Md. Salim
Chetora Begum
Father: deceased Md. Fazlul Karim
Village Ramnarayanpur
Post Office Kalyan Nagar
Thana Chatkhil
District Noakh
mall=selim2222765@gmail.com
JOb
Md. Salim
Chetora Begum
Father: deceased Md. Fazlul Karim
T @ T Kalani
House No. F 1/6 Second Floor
Thana Doublemooring
Post Office port
Agrabad Chittagon
বাড়ির ঠিকানা
Md. Salim
Chetora Begum
Father: deceased Md. Fazlul Karim
Village Ramnarayanpur
Post Office Kalyan Nagar
Thana Chatkhil
District Noakh
mall=selim2222765@gmail.com
কানাডা কৃষি ভিসা ২০২৪