ইতালি স্পন্সর (ওয়ার্ক পারমিট) ভিসা ২০২৪ আবেদন [সকল তথ্য জানুন]

ইতালি ইউরোপীয় ইউনিয়নের জোটভুক্ত একটি দেশ। অভিবাসীদের কাছে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ভিসার নাম হলো ইতালি স্পন্সর ভিসা। এই ভিসা পেলে আপনি ইতালিতে দীর্ঘ সময় অবস্থান করতে পারবেন। এটি আপনাকে নব্বই দিনের বেশি সময় অতিবাহিত করার সুযোগ দিবে। বর্তমানে এই ভিসা পাওয়া অনেক দুরুহ হয়ে গেছে।

পশ্চিম ইউরোপের একটি সংসদীয় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্র এটি। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ইউরোপে এই রাষ্ট্র শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। উন্নত এই রাষ্ট্রের ইউরোপে বর্তমানে  তার অর্থনৈতিক অবস্থান তৃতীয় তম। তবে এই দেশে রয়েছে উচ্চ বেকারত্বের হার। যারা ইতালি স্পন্সরের ভিসা নিয়ে এই দেশে যেতে চান তাদের অবশ্যই এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।

ইতালি স্পন্সর ভিসা মানে কি?

ইতালি স্পন্সর ভিসা হলো এমন এক ধরনের ভিসা যেটি আপনাকে ইতালিতে ৯০ দিনের বেশি সময় থাকার অনুমতি দিয়ে থাকে। এই ভিসা পাওয়ার জন্য একজন স্পন্সর আবশ্যক। এই স্পন্সর হতে পারে আপনার পরিবারের সদস্য, বন্ধু কিংবা কোন প্রতিষ্ঠান। যারা ইতালিতে যেতে চায় তাদের কাছে এটি একটি স্বপ্নের মত। এটি ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নামেও পরিচিত।

ইতালি স্পন্সর ভিসার সুবিধা

এই ভিসা অনেকের কাছে স্পন্সরশীপ ভিসা কিংবা ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নামেও পরিচিত। ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেলে আপনি নিম্নে উল্লেখিত সুবিধা গুলো পাবেন:

  • এই ভিসা পেলে আপনি ইতালিতে দীর্ঘদিন কাজের সুযোগ পাবেন। যা আপনার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেবে।
  • যারা এই দেশে গিয়ে পড়াশোনা করতে চান তাদের পড়াশোনার সুযোগ সৃষ্টি করে দেবে। পাশাপাশি পার্ট টাইম কাজ করতে পারবেন।
  • এটি একটি সিজনাল ভিসা যা আপনাকে ইতালিতে ৯০ দিনের বেশি সময় থাকার সুযোগ করে দিবে।
  • আপনার পরিবারের সাথে থাকার সুযোগ করে দিবে। যদি তারা ইতালিতে আগে থেকে অবস্থান করে থাকে।
  • এই ভিসা আপনাকে ইতালিতে তাহলে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ করে দিবে।

ইতালি স্পন্সর ভিসা ২০২৪ আবেদনের সময়

সাম্প্রতিক সময়ে ইত্যাদি সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় লক্ষাধিক শ্রমিক নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে অনেক শ্রমিক নিবে। ইতালির শ্রম বাজারে আগে থেকেই বাংলাদেশীদের একটি শক্ত অবস্থান রয়েছে। ইতালি সরকার ২০২৪ সালের মার্চ মাসের ১৮, ২১ এবং ২৫ তারিখে ক্লিক ডে ঘোষণা করেছে।

প্রথম ধাপে অফলাইনে সকাল ৯ টা থেকে ইতালি স্পন্সার ভিসা আবেদন করতে পারবে। আবেদনকারীদের অবশ্যই তাদের স্পন্সরের কাছ থেকে প্রাপ্ত “নম্বর” ব্যবহার করে আবেদন করতে হবে। দ্বিতীয় ধাপে ক্লিক-ডের পরবর্তী ৪৮ ঘন্টায় (২ দিন) অনলাইনে আবেদন করা যাবে। এক্ষেত্রে স্পন্সরের কাছ থেকে প্রাপ্ত “নম্বর” ব্যবহার করে আবেদন করতে হবে। যারা ইতালি স্পন্সর ভিসার আবেদন করবে তারা অবশ্যই সরকারি এজেন্সির সহযোগিতা নিবেন।

ইতালি স্পন্সর ভিসা ২০২৪ আবেদন করার নিয়ম

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে চান তাহলে অবশ্যই স্পন্সর ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। যারা জানেন না কিভাবে ইটালি স্পন্সর ভিসার আবেদন করতে হয় তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। আপনাকে ধাপে ধাপে প্রতিটি পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে।

  • প্রথমে আপনাকে ইতালি সরকারের ওয়েবসাইট www.vfsglobal.com/italy/bangladesh/index.html  এই লিংকে ভিজিট করতে হবে।
  • এরপর আপনাকে ভিসা ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে হবে। এজন্য আপনাকে “Visa Types” অপশনে ক্লিক দিতে হবে। তারপর আপনি “How to Apply” অপশনে ক্লিক দিবেন। তাহলে আপনি ইটালি স্পন্সর ভিসা আবেদনের সকল প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন।
  • এবার আপনাকে প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে ফর্মটি পূরণ করতে হবে।
  • ফর্মটি পূরণ সম্পন্ন হলে আপনাকে ভিসা আবেদন ফি দিতে হবে। এজন্য আপনাকে ইতালি সরকারের ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করতে হবে।
  • আবেদন ফর্মটি পূরণ ও ফি সম্পন্ন হলে আবেদন পত্রটি প্রিন্ট করে ইতালি ভিসা সেন্টারে জমা দিতে হবে।
  • ইতালি সরকারের ভিসা আবেদন সেন্টার (VFS Global) ঢাকা অফিস এর ঠিকানায় আবেদনপত্রটি জমা দিতে হবে। গুলশানে এটি অবস্থিত। ইতালি স্পন্সর ভিসা আবেদন সম্পর্কে আরো সঠিক তথ্য পেতে একজন অভিজ্ঞ মানুষের সহযোগিতা নিবেন।

ইতালি স্পন্সর ভিসা খরচ কত

বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার বর্তমানে অনেক কঠিন হয়ে গেছে। ইতালি স্পন্সর ভিসার খরচ নির্ভর করে ভিসার মেয়াদ এবং আপনার লোকেশনের উপর। এই ভিসা আপনি সরকারিভাবে এবং বেসরকারিভাবে পেতে পারেন। সরকারিভাবে এই ভিসা তৈরি করতে খরচ অনেক কম পড়ে কিন্তু  বেসরকারিভাবে তৈরি করলে খরচ অনেক বেশি হয়। দালালের সহযোগিতায় এই ভিসা তৈরি করলে অনেক সময় প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ভিসা খরচ কয়েকগুণ বেশি পড়ে।

বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ইতালি স্পন্সর ভিসায় যেতে  আনুমানিক খরচ পড়বে প্রায় ৪ থেকে ৬ লক্ষ টাকা। বেসরকারিভাবে গেলে খরচ পড়ে আনুমানিক প্রায় ৮ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা। এই খরচটি সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। ব্যক্তিভেদে এই ভিসা খরচ কম বেশি হতে পারে। এই খরচের ভিতর সকল ধরনের খরচ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আরো বিস্তারিত জানতে পড়ুন ইতালি যেতে কত টাকা লাগে

ইতালি স্পন্সর ভিসা বেতন কত

ইতালি স্পন্সর ভিসা মূলত ওয়ার্ক পারমিটের জন্য সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। এই সিজনাল ইতালি ভিসা পেলে আপনি দীর্ঘ সময় এই দেশে থাকার অনুমতি পাবেন। এই ভিসা আপনাকে ইতালিতে বৈধ হবে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেবে। এই দেশের শ্রমিকদের ভালো পরিমাণ বেতন দেওয়া হয়ে থাকে। উন্নত এই দেশে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। জনসংখ্যা কম হওয়ায় প্রায় সকল ধরনের কাজের চাহিদা অনেক বেশি। আপনি ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যাওয়ার আগে অবশ্যই জেনে নিবেন ইতালি কোন কাজের বেতন বেশি

কাজের ধরন, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ইতালি স্পন্সর ভিসার বেতন ভিন্ন হয়ে থাকে। আপনি যদি এই ভিসা নিয়ে ইতালিতে কাজ করেন তাহলে সর্বনিম্ন বেতন পাবে এক লক্ষ টাকার মতো এবং সর্বোচ্চ বেতন হতে পারে তিন লক্ষ টাকা। আপনি চাইলে আরো জেনে নিতে পারেন ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি

18 thoughts on “ইতালি স্পন্সর (ওয়ার্ক পারমিট) ভিসা ২০২৪ আবেদন [সকল তথ্য জানুন]”

  1. যদি ইতালিতে খুব নিকট আত্বীয় থাকে তারা চাইলে কি কোনো পন্থার মাধ্যমে ইতালিতে নিয়ে যেতে পারবে?

    Reply
  2. আমার স্বপ্ন আমি ইতালি যাবো কিন্তু টাকার অভাবে কিছু করতে পারি না

    Reply
  3. Going to Europe is a dream of mine for a long time. I am willing to do any work. I will try to earn my living through hard work. I will work with my honesty. So if anyone can help me to fulfill this dream I will be eternally grateful.

    Reply
  4. তথ্য সহায়তা চাই।
    পরিচিত এক ভাই ইটালি থাকেন দীর্ঘ ১৩ বছর।
    তিনি আমার থেকে পাসপোর্ট এর স্ক্যান কপি নিয়েছেন, পিকচার নিয়েছেন।
    আমাকে বলছেন আমার নুল ওয়াস্তা হয়েছে এবং ওখানকার মালিক আমার জন্য স্পন্সর ভিসার আবেদন করেছেন।
    আমার নাকি বাংলাদেশে এম্বাসি ফেস করতে হবেনা।
    জাস্ট মেডিকেল করতে হবে। then embassy তে গেলে ওরা সিল সাপ্পর মেরে দিবে। এগুলো সঠিক তথ্য?

    Reply
  5. MD. SALIM
    Father:- FUZLUL KARIM
    MST CHATARA BEGUM
    Address- RAM NARAYANPUR.WARD NO-06.CHATKHIL.KALYAN.NAGAR-3870.NOAKHALI
    CONTACT- MANJUMA AKHTER
    Relationship Address- TNT COLONY AGRABAD.
    DOUBLE MOORING.CHITTAGONG.
    BANGLADESH
    POST OFFICE-4100
    CHATTOGRA

    Reply

Leave a Comment