ফ্রান্স কাজের ভিসা ২০২৪ | ফ্রান্স যেতে কত টাকা লাগবে

আপনি যদি ফ্রান্স কাজের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত সঠিক তথ্য জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। এছাড়া আপনি আরো জানতে পারবেন ফ্রান্স যেতে কত টাকা লাগবে।প্রবাসীদের নিকট ফ্রান্স আকর্ষণীয় দেশ হতে পারে। অভিবাসীদের উচিত হবে দেশটি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে ফ্রান্স কাজের ভিসা নিয়ে এই দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা।

এই দেশের অবস্থান ইউরোপের কেন্দ্রস্থলে। যার কারণে অন্যান্য দেশে খুব সহজে ভ্রমণ করতে পারে ফ্রান্সে থাকা প্রবাসীরা কিংবা অভিবাসীরা। এই দেশে গেলে আপনি পাবেন উন্নত মানের জীবন যাপন, উন্নত ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা, আধুনিক চিকিৎসা এবং অত্যাধুনিক পরিবহন সুবিধা। একজন স্টুডেন্ট, টুরিস্ট এবং কর্মীদের কাছে ফ্রান্স একটি সেরা গন্তব্য হতে পারে।

শক্তিশালী অর্থনীতির এই দেশে বেকারত্বের হার তুলনামূলক অনেক কম। তবে এই দেশে জীবনযাত্রার ব্যয় একটু বেশি হয়ে থাকে। সামাজিক নিরাপত্তার দিক দিয়েও এ দেশ অনেক উন্নত। ফ্রান্স কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারলে আপনি ভালো বেতনে জব করতে পারবেন।

ফ্রান্সের আইন-কানুন খুব জটিল হয়ে থাকে। প্রবাসীদের নিকট কঠিন মনে হতে পারে। এছাড়া ফ্রান্সে গেলে আপনি কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের বৈষম্যের শিকার হতে পারেন। ফ্রান্স ভাষা আয়ত্ত করতে পারলে আপনি এই দেশে যেতে পারেন।  কারণ এখানে রয়েছে কর্মসংস্থানের উন্মুক্ত সুযোগ। এজন্য অবশ্যই ফ্রান্স ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রয়োজন হবে। আপনি যদি কাজের ভিসায় যেতে পারেন তাহলে খুব সহজে ফ্রান্সের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন।

এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব, ফ্রান্স কাজের ভিসা এবং ফ্রান্সে যেতে কত টাকা লাগবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু।

ফ্রান্স কাজের ভিসা করতে কি কি লাগে

অনেকে মনে করে থাকেন যে, ফ্রান্সে বৈধভাবে যাওয়া যায় না। এরকম কথা মূলত দালালেরা বলে থাকে। ফ্রান্সে বৈধভাবে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। এজন্য কিছু ডকুমেন্টস লাগবে। নিম্ন সেগুলো উল্লেখ করা হলো:

  • এক বছর মেয়াদী ডিজিটাল পাসপোর্ট
  • ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • ইংরেজি ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট
  • আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা
  • আবেদনকারীর জন্ম নিবন্ধনের কপি
  • আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি
  • চেয়ারম্যান কর্তৃক সনদপত্র
  • ফ্রান্স ভিসা আবেদন ফি
  • ফ্রান্স ভিসা আবেদন ফরম
  • স্কিল সার্টিফিকেট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ

ফ্রান্স কাজের ভিসা আবেদন করার নিয়ম

কাজের ভিসা নিয়ে ফ্রান্সে গেলে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করার অনুমতি পাবেন। বাংলাদেশ এবং ভারত থেকে কাজের উদ্দেশ্যে ফ্রান্সে গিয়ে মানুষ ড্রাইভিং এবং রেস্টুরেন্ট জব সবচেয়ে বেশি করে থাকে। ফ্রান্স কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে আবেদন করতে হবে।

কাজের জন্য ফ্রান্স দুই রকমের ভিসা দিয়ে থাকে। স্বল্পমেয়াদি ভিসা যেটির মেয়াদ থাকে নব্বই দিনের কম সময়ের জন্য। দীর্ঘমেয়াদী ভিসার মেয়াদ থাকে এক বছরের বেশি সময়।

ফ্রান্স ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

  • প্রথমে নিশ্চিত করতে হবে আপনার ফ্রান্সের ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা আছে কিনা। এরপর আপনাকে ধরন এবং সময়কাল অনুযায়ী ভিসা ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে হবে।
  • ভিসার আবেদনের জন্য উপরে উল্লেখিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হয়।
  • অনলাইনে কিংবা অফলাইনে ফ্রান্সের ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
  • এরপর আপনাকে আবেদন ফরম ফ্রান্সের দূতাবাসে গিয়ে জমা দিতে হবে। সাথে অবশ্যই আবেদন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ভিসা ফি জমা দিতে হবে।
  • ফ্রান্স ভিসা প্রসেসিং হতে কয়েকদিন সময় লাগে। ভিসার অনুমোদন পেলে আপনাকে ডাকযোগে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ফ্রান্সের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ মানুষের সহায়তা নিবেন।

ফ্রান্স যেতে কত টাকা লাগবে

ফ্রান্সে মানুষ ভ্রমণ ভিসা, কাজের ভিসা এবং টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেয়ে থাকে। ফ্রান্সে যেতে কত টাকা লাগবে সেটা নির্ভর করে ভিসা ক্যাটাগরি, ভিসার মেয়াদ এবং আবেদনকারীর লোকেশনের উপর। ফ্রান্স ওয়ার্ক পারমিট ভিসা  নিয়ে বাংলাদেশ থেকে গেলে  খরচ পড়বে প্রায় সর্বনিম্ন ৪ লক্ষ টাকা। দালাল কিংবা এজেন্সির মাধ্যমে গেলে খরচ পড়বে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা।

স্টুডেন্ট এবং টুরিস্ট ভিসায় এই দেশে গেলে খরচ আরো কম পড়বে। টুরিস্ট ভিসায় ফ্রান্স গেলে আনুমানিক খরচ পড়বে প্রায়  ৩ লক্ষ টাকা। স্টুডেন্ট ভিসায় ফ্রান্সে গেলে খরচ পড়বে আনুমানিক প্রায় ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা।

26 thoughts on “ফ্রান্স কাজের ভিসা ২০২৪ | ফ্রান্স যেতে কত টাকা লাগবে”

  1. আমি ফ্রান্স যেতে চাই। আমার সবে মাত্র ১৮ বছর হল। আমি কি এখন ফ্রান্সে যাওয়ার জন্য উপযোক্ত।

    Reply
  2. মোঃ মাসুদ মিয়া
    পিতা মোঃ আবু সিদ্দিক
    মাথা রেবেকা
    গ্রাম চরকিরপুর
    পোস্ট অফিস সান্দিকোনা
    থানা কেন্দুয়া
    জেলা নেত্রকোনা
    বিভাব ময়মনসিং
    বাংলাদেশ

    Reply
  3. MD. SALIM
    Father- FUZLUL KARIM
    MST- CHATARA BEGUM
    Address- RAM NARAYANPUR.
    WARD NO-06.CHATKHIL.KALYAN.NAGAR-3870.NOAKHALI
    CONTACT- MANJUMA AKHTER
    Relationship Address- TNT COLONY AGRABAD.DOUBLE MOORING.CHITTAGONG.
    POST OFFICE-4100
    CHATTOGRA
    Bangladesh

    Reply

Leave a Comment