সিঙ্গাপুর শ্রমিক নিয়োগ 2024 (আবেদন, বেতন, খরচ)

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যতম সেরা দ্বীপ রাষ্ট্র হলো সিঙ্গাপুর। দেশটিতে বিদেশি শ্রমিকদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রতিবছর হাজার হাজার দক্ষ এবং অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে এদেশের সরকার। যদিও করোনা সংকটের কারণে নিয়োগ কার্যক্রম থমকে ছিল।
যেসব কর্মীদের সিঙ্গাপুরে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের কাজের অনুমতিপত্র প্রদানের ক্ষেত্রে থাকছে না কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা সীমা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে কর্মী সংকট  বিদ্যমান। স্থানীয় শ্রম বাজারে দক্ষ কর্মীর অভাব রয়েছে।

সিঙ্গাপুর শ্রমিক নিয়োগ সর্বশেষ আপডেট

সিঙ্গাপুর প্রতিবছর দক্ষ এবং অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগ। দক্ষ শ্রমিকের বেতন অদক্ষ শ্রমিকের থেকে অনেক বেশি হয়ে থাকে। দক্ষ শ্রমিকদের চাহিদা তুলনামূলক অনেক বেশি। অদক্ষ হয়ে এই দেশে গেলে কাজ পেতে অনেক সময় অসুবিধা হয়। বর্তমানে সিঙ্গাপুরের কোম্পানিগুলো অদক্ষ শ্রমিকদের স্কিল করার পারমিশন দিতে চায় না। কারণ তারা অদক্ষ শ্রমিক নেয় কম বেতন দেওয়ার জন্য।

আপনি কোম্পানির বসের পারমিশন ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠানে স্কিল শিখতে পারবেন না। সিঙ্গাপুর শ্রমিক ভিসা সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে যদি আপনি কাজের উদ্দেশ্যে সিঙ্গাপুর যেতে চান। এই আর্টিকেলে সিঙ্গাপুরের শ্রমিক ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত গাইডলাইন দেওয়া হবে। আশা করি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

সিঙ্গাপুর শ্রমিক ভিসা করতে কি কি যোগ্যতা লাগে

কাজের উদ্দেশ্যে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে সিঙ্গাপুরে যেতে হলে আপনাকে প্রথমে বয়সের শর্ত পূরণ করতে হবে। আপনার বয়স যদি ২১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে হয় তাহলে আপনি সিঙ্গাপুরে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন। এছাড়া উল্লেখিত কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস লাগবে।

যেসব কাগজপত্র সিঙ্গাপুরে যেতে প্রয়োজন পড়ে:

  • একটি বৈধ পাসপোর্ট (সর্বনিম্ন মেয়াদ ছয় মাস এবং সর্বনিম্ন দুটি পাতা খালি থাকতে হবে)
  • ভিসা আবেদন পত্র
  • জন্ম নিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয় পত্র
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট
  • একাডেমিক শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
  • পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
  • আর্থিক সাপোর্ট ডকুমেন্টস (ব্যাংক স্টেটমেন্ট)
  • ভিসা আবেদন ফি
  • করোনা টিকা সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • স্কিল সার্টিফিকেট
  • কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)

সিঙ্গাপুর শ্রমিক ভিসা আবেদন করার নিয়ম

সিঙ্গাপুর শ্রমিক ভিসা পেতে হলে আপনাকে স্কিল সার্টিফিকেট অর্জন করতে হবে। বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি এরকম প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেখানে আপনি স্কিল শিখতে পারবেন। আনুমানিক প্রায় আড়াই লক্ষ থেকে তিন লক্ষ টাকা খরচ হয় এই স্কিল সার্টিফিকেট অর্জন করার জন্য। এসব প্রতিষ্ঠানই সাধারণত আপনার ভিসা প্রসেসিং করে দিয়ে থাকে।

শ্রমিক ভিসা দুই রকমের হয়ে থাকে। দক্ষ এবং অদক্ষ শ্রমিক ভিসা। ভিসা আবেদন করার জন্য অবশ্যই একজন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মানুষের সহযোগিতা নিবেন। প্রয়োজনে যে প্রতিষ্ঠ শিখবেন সেখান থেকে আবেদন প্রসেসিং করতে পারেন। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান ভিসা প্রসেসিং করে দিয়ে থাকে। এছাড়া নিজে নিজে চাইলে অনলাইনে ভিসা আবেদন করা যায়।

সিঙ্গাপুর শ্রমিক ভিসার খরচ কত

আমরা পূর্বেই বলেছি সিঙ্গাপুর শ্রমিক ভিসা দুই ধরনের হয়ে থাকে। দক্ষ শ্রমিক এবং অদক্ষ শ্রমিক ভিসা। বর্তমানে সিঙ্গাপুরে গিয়ে স্কিল অর্জন করা অনেক কঠিন। তাই চেষ্টা করবেন নিজের দেশ থেকেই স্কিল সার্টিফিকেট নিয়ে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার। তবে বাংলাদেশ স্কিল শিখলে খরচ তুলনামূলক বেশি পড়ে। অন্যদিকে সিঙ্গাপুরে স্কিল শেখা বর্তমানে অনেক বেশি কঠিন।

কারণ কোম্পানির বসেরা পারমিশন দিতে চায় না। আর পারমিশন ছাড়া আপনি সিঙ্গাপুরে গিয়ে স্কিল শিখতে পারবেন না। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে স্কিল শিখে সিঙ্গাপুরে যেতে আনুমানিক প্রায় খরচ পড়ে ৬ থেকে ৬ লক্ষ টাকা। দালাল ছাড়া নিজে নিজে আবেদন করে সিঙ্গাপুর শ্রমিক ভিসা করতে পারলে খরচ অনেক কম পড়ে।

সিঙ্গাপুরে শ্রমিকের বেতন কত

সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন ধরনের শ্রমিক রয়েছে। কাজ অনুসারে বেতন ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে সিঙ্গাপুরে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে এমন কিছু কাজ হলো পাইপ ফিটিং (প্লাম্বার), ইলেকট্রিশিয়ান, ওয়েল্ডিং শ্রমিক ইত্যাদি। শ্রমিকের বেতন নির্ভর করে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর। অদক্ষ শ্রমিকদের বেতন তুলনামূলক অনেক কম হয়ে থাকে।

সিঙ্গাপুরে কোম্পানিতে শ্রমিকদের বেতন আনুমানিক প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা হয়ে থাকে। নতুনদের প্রথম অবস্থায় বেতন কম হয়। সাধারণত ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকার আশেপাশে থাকে। অভিজ্ঞতা অর্জন করলে ধীরে ধীরে বেতন বৃদ্ধি পায়।

8 thoughts on “সিঙ্গাপুর শ্রমিক নিয়োগ 2024 (আবেদন, বেতন, খরচ)”

  1. পাইপ ফিটিং কাজ শিখতে কত দিন লাগে আর কত টাকা খরচ হয়
    এমন পতিষ্ঠানের ঠিকানা জানালে উপকৃত হতাম

    Reply
  2. সিঙ্গাপুর যেতে হলে কি শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক নাকি কেউ জানলে জানাবেন

    Reply

Leave a Comment