সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো [সর্বশেষ আপডেট]

মুসলমানদের জন্য পবিত্র দেশ হলো সৌদি আরব। বিভিন্ন দেশের মুসলিমরা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে পবিত্র এই দেশে যায়। এদের কেউ হজ্ব করার উদ্দেশ্যে যায়, কেউ কাজের উদ্দেশ্যে যায় এবং আবার অনেকে পড়াশোনার উদ্দেশে যায়। আপনিও যদি পবিত্র এই দেশে যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই জেনে নিতে হবে সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো। তাহলে আপনি খুব সহজে আপনার জন্য উপযুক্ত ভিসা নির্বাচন করতে পারবেন।

উদ্দেশ্য অনুযায়ী সৌদি আরবের ভিসা ক্যাটাগরি আলাদা হয়ে থাকে। যারা কাজের উদ্দেশ্যে এই দেশে যেতে চান তাদের অবশ্যই এমন ভিসা নির্বাচন করতে হবে যেটিতে খরচ কম পড়ে। আজকের এই পুরো আর্টিকেল জুড়ে আলোচনা করা হবে সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো। এজন্য আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।

সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো

সৌদি আরবে বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ কাজ করার উদ্দেশ্যে যায়। বাংলাদেশ থেকেও প্রতি বছর হাজার হাজার লোক বৈধভাবে যাচ্ছে। কেউ কাজের উদ্দেশ্যে অথবা কেউ হজ হজ্বের উদ্দেশ্য।

তবে প্রত্যেকের ভিসা আবেদন করার পূর্বে জেনে নেওয়া উচিত সৌদি আরবের কোন ভিসা তার জন্য ভালো হবে। তাহলে খুব কম খরচে পবিত্র এই দেশে পাড়ি জমাতে পারবে। সৌদি সরকার বিভিন্ন ধরনের ভিসা বিভিন্ন উদ্দেশ্য অফার করে থাকে। উদ্দেশ্য অনুযায়ী ভিসা ক্যাটাগরি আলাদা হয়।

আমেল আইদি ভিসা

এই ভিসায় যেতে হলে আপনাকে সৌদি আরবের কফিলের (মালিকের) অধীনে কাজ করতে হবে। কফিলের অনুমতি বাধ্যতামূলক এই ভিসা পাওয়ার জন্য। আপনি কফিলের অনুমতি ছাড়া কোন ধরনের কাজ করতে পারবেন না। এই ভিসা পেতে হলে আপনাকে কফিলকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ফি দিতে হবে।

ক্লিনার ভিসা

অদক্ষ ব্যক্তিদের জন্য এই ভিসা উপযুক্ত। যারা সৌদিতে কাজ করতে ইচ্ছুক কিন্তু কোন ধরনের দক্ষতা নেই তারা এই ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে যেতে পারেন। আপনি কঠোর পরিশ্রম করতে পারলে এই ভিসা নিয়ে গিয়ে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই ভিসায় মূলত পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে দেওয়া হয়। যাকে খাঁটি বাংলায় বলা হয় পরিছন্নতা কর্মী।

মাজরার ভিসা

এই ভিসা মূলত বাগান শ্রমিকদের জন্য। যারা সৌদি আরবে গিয়ে বাগানে কাজ করতে চান, তাদের জন্য এই ভিসা উপযুক্ত। আপনি দক্ষ হন কিংবা অদক্ষ হন তাতে কোন সমস্যা নেই। এই ভিসা নিয়ে কাজ করে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বাগানের কাজ সাধারণত একটু কঠিন হয়ে থাকে। এই ভিসার খরচ তুলনামূলক অনেক কম হয়ে থাকে।

সুপার মার্কেট ভিসা

সৌদি আরবে গিয়ে যারা সুপার মার্কেটে কাজ করতে চান, তাদের জন্য রয়েছে সুপার মার্কেট ভিসা। এই ভিসায় সৌদি আরবে গেলে আপনি সুপার মার্কেটে কাজ করতে পারবেন। সুপার মার্কেটে কাজ করলে ওভার টাইম করার অনেক সুযোগ থাকে। এই ভিসা নিয়ে গেলে আপনি বেশি টাকা ইনকাম করার সুযোগ পাবেন।

আমেল মঞ্জিল ভিসা

সৌদি আরবের বাসা বাড়িতে কাজ করার জন্য সাধারণত এই ভিসা দেওয়া হয়। যেমন:  দারোয়ান, কেয়ারটেকার, ক্লিনার ইত্যাদি। এই ভিসা নিয়ে গেলে মালিকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও কাজ করতে পারবেন না। এই ভিসা প্রতি বছর নবায়ন করতে হয় যাতে খরচ পড়ে আনুমানিক প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।

চাওয়াক খাছ ভিসা

এই ভিসা সাধারণত সৌদি আরবে ড্রাইভারের কাজ করার জন্য দেওয়া হয়। সৌদি আরবের নিজস্ব কোন মালিকের অধীনে কাজ করতে হয়। মালিকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও কাজ করার সুযোগ নেই।

সৌদি ফ্রি ভিসা

বর্তমানে সৌদি আরবের ফ্রি ভিসা বন্ধ রয়েছে। এই ভিসা নিয়ে যেতে হলে আপনাকে টাকা খরচ করতে হবে। তবে এই ভিসার সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি থাকে। দালালরা এই ভিসা সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে থাকে। ভুল তথ্য দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়ে থাকে।

সৌদি কোম্পানি ভিসা

সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা সবচেয়ে বেশি ভালো। এই ভিসায় অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। আপনি যদি কোম্পানিতে চাকরি করতে চান তাহলে আপনাকে এই ভিসা নিতে হবে। কোম্পানিতে কাজ করলে বেতন অনেক বেশি ভালো পাবেন। এজন্য আপনাকে কাজের দক্ষতা শিখে ভালো একটা কোম্পানিতে চাকরি নিতে হয়।

সৌদি আরব যেতে কত টাকা লাগে

সৌদি আরবে যেতে কত টাকা লাগবে সেটা নির্ভর করবে আপনার ভিসা ক্যাটাগরির উপর। কারণ ভিসা ক্যাটাগরি এবং ভিসার মেয়াদ অনুযায়ী সৌদি ভিসার দাম কম বেশি হয়ে থাকে। তাই প্রথমে আপনাকে জেনে নিতে হবে সৌদি আরব ভিসার দাম কত সেটা সম্পর্কে বিস্তারিত। বর্তমানে বাংলাদেশীদের জন্য সৌদি আরবে ওমরা হজ্ব করতে কোন ধরনের ভিসার প্রয়োজন নেই। তাই যারা ওমরা হজ্ব করতে যাবেন তাদের সৌদি আরবে যেতে খরচ কম পড়বে।

সৌদি আরব ভিসা দাম কত
ক্রমিক নম্বর ভিসা ক্যাটাগরি আনুমানিক ভিসা খরচ (টাকা)
ক্লিনার ভিসা ৪-৫ লক্ষ
মাজরার ভিসা ৩-৪ লক্ষ
সুপার মার্কেট ভিসা ৪-৫ লক্ষ
আমেল মঞ্জিল ভিসা ৩-৪ লক্ষ
চাওয়াক খাছ ভিসা ৪-৫ লক্ষ
আমেল আইদি ভিসা ৪-৫ লক্ষ
ওমরা ভিসা ১-২ লক্ষ
সৌদি ফ্রি ভিসা ৫-৬ লক্ষ

Leave a Comment