বর্তমানে ফ্যাক্টরি ভিসায় মালয়েশিয়া যেতে পারলে সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। ফ্যাক্টরি কাজের বেতন সাধারণত বেশি হয়ে থাকে। এছাড়া কোম্পানি থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় এবং আনুষাঙ্গিক খরচ সকল বহন করে থাকে । যার কারণে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
এই ভিসা নিয়ে ফ্যাক্টরিতে কাজ করার পাশাপাশি মালিকের অনুমতি নিয়ে বাইরে কাজ করার সুযোগ পাবেন। ভালো বেতন এবং সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় একজন শ্রমিকের বর্তমানে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা নিয়ে যাওয়া উচিত। তবে এজন্য উচিত হবে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার বেতন কত জেনে নেওয়া।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কত
একজন শ্রমিকের মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার বেতন নির্ভর করে তার যোগ্যতা, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর। নতুন অবস্থায় সাধারণত শ্রমিকদের বেতন একটু কম হয়ে থাকে। ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা লাভ করলে ফ্যাক্টরি কাজের বেতন বৃদ্ধি পায়। নতুন অবস্থায় বেশি বেতন পাওয়ার জন্য আপনাকে ভালো প্রশিক্ষণ নিয়ে মালয়েশিয়া যেতে হবে।
বর্তমানে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা নতুন শ্রমিকদের বেতন আনুমানিক প্রায় ৪৫ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। দক্ষ এবং পুরাতন অভিজ্ঞ শ্রমিকদের বেতন আনুমানিক প্রায় ৬০,০০০ টাকার বেশি হয়ে থাকে। পুরাতন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শ্রমিকদের ওভারটাইম সাধারণত বেশি হয়ে থাকে। যার কারণে এরা বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারে।
ফ্যাক্টরিতে সাধারণত গরম একটু বেশি লাগে। আপনি ফ্যাক্টরিতে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। নতুন অবস্থায় সাধারণত ওভারটাইম বেশি দেওয়া হয় না। যার কারণে বেতন একটু কম হয়ে থাকে। এটা নিয়ে আপনাকে চিন্তা করা যাবে না।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন করার নিয়ম
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ মানুষ কিংবা এজেন্সির সহযোগিতা নিয়ে সম্পন্ন করতে হবে। আমরা আপনাকে শুধু বিভিন্ন ধাপ সম্পর্কে ধারণা দিবো। যাতে আপনি মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা প্রসেসিং কিভাবে করতে হয় বুঝতে পারেন। তাহলে আপনাকে দালাল কিংবা এজেন্সি ভুগোল বোঝাতে পারবে না। বর্তমানে দালাল ছাড়াই সরকারিভাবে মালয়েশিয়া যাওয়া যায়। তাই দালাল থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন।
- প্রথমে আপনাকে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। এজন্য আপনাকে গুগল প্লে স্টোর থেকে আমি প্রবাসী অ্যাপটি ডাউনলোড করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর আপনি বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করে স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করতে হবে।
- আপনি সরকারিভাবে মালয়েশিয়া যেতে না পারলে অবশ্যই কোন বিশ্বস্ত এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
- এজেন্সি খুঁজে পাওয়ার পর আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে সেখানে জমা দিতে হবে। অবশ্যই মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার আবেদন ফরম ডাউনলোড করে সেটি সঠিকভাবে পূরণ করে জমা দিবেন।
- এবার আপনাকে স্পেশাল ট্রেনিং গ্রহণ করতে হবে। কোম্পানি থেকে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী আপনাকে ট্রেনিং দেওয়া হবে। পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে মেডিকেল টেস্ট করানো হবে।
- উপরোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি খুব সহজে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।
- সর্বশেষ ভিসা আপডেট জেনে ভিসার জন্য আবেদন করবেন। কেননা যে কোন সময় ফ্যাক্টরি ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং আবেদন প্রক্রিয়া পরিবর্তন হতে পারে।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা পেতে কি কি লাগে
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা পাওয়ার জন্য কিছু ডকুমেন্টস লাগবে। এই ডকুমেন্টস ছাড়া ভিসা আবেদন সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। এজন্য আপনাকে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন করার আগে প্রয়োজনীয় এই কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ করে রাখতে হবে।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা পেতে যা যা লাগে:
- সর্বনিম্ন ৬ মাস মেয়াদি বৈধ পাসপোর্ট
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
- পাসপোর্ট সাইজের ৪ কপি রঙিন ছবি
- পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
- চেয়ারম্যান কর্তৃক সার্টিফিকেট
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
- মেডিকেল রিপোর্ট টেস্ট সার্টিফিকেট
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
- কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট (যদি লাগে)
- কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট (যদি লাগে)
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার দাম কত
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা পাওয়া খুব সহজ। আপনি সরকারিভাবে ফ্যাক্টরি ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়া যেতে পারলে খরচ কম পড়বে কিন্তু বেসরকারিভাবে এজেন্টের মাধ্যমে গেলে খরচ বেশি পড়বে। সুযোগ-সুবিধা বেশি এবং বেতন ভালো হওয়ায় বর্তমানে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা পেতে বেশি টাকা লাগে।
সাধারণত মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৪ লক্ষ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। এটা একটি সাধারণ ধারণা মাত্র। বাস্তবে খরচ কম বেশি হতে পারে। মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার খরচের মধ্যে সকল ধরনের খরচ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একজন শ্রমিকের পাসপোর্ট তৈরি থেকে শুরু করে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরিতে পৌঁছা পর্যন্ত যাবতীয় খরচ এর সাথে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।