পর্তুগাল ইউরোপের দীর্ঘতম টিকে থাকা স্বাধীন রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একটি যার সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। এটি ইউরোপের সেনজেনভুক্ত একটি দেশ। পশ্চিম ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম ব্যয়বহুল দেশ এটি। এই দেশের মানুষ আতিথেয়তার জন্য পরিচিত। এটি ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ।
যারা কাজের জন্য ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে এই দেশে যেতে চান তাদের অবশ্যই পর্তুগাল বেতন কত জেনে নেওয়া উচিত। পাশাপাশি অবশ্যই জেনে নিবেন পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে। তাহলে বেতন এবং ভিসা খরচ সম্পর্কে ধারণা পাবেন। এতে বেসরকারি বিভিন্ন এজেন্সি এবং দালাল আপনার কাছ থেকে বেশি বেতনের কথা বলে ভিসার জন্য বেশি টাকা নিতে পারবে না। এছাড়া আপনাকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করতে পারবে না।
পর্তুগালের সর্বনিম্ন বেতন কত
পর্তুগালে একটি আইনি সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো রয়েছে যা প্রতি বছর সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হয়। বর্তমানে পর্তুগালে মূল ভূখণ্ডের জন্য সর্বনিম্ন মাসিক বেতন ৮২০ ইউরো এবং আজোরেসের জন্য ৮৬১ ইউরো। যা বাংলাদেশী টাকায় বর্তমান রেট অনুযায়ী আনুমানিক প্রায় ১ লক্ষ টাকার আশেপাশে হবে।
বর্তমানে পর্তুগালের গড় মাসিক বেতন প্রায় ১৪৬৩ ইউরো বা ১,৭৫,০০০ টাকা। এই দেশে সাধারণত কাজের ৪০ ঘন্টা বেসিক ডিউটি থাকে। তবে ওভারটাইম কাজ করার জন্য অতিরিক্ত বেতন দেওয়া হয়। দৈনিক ৮ ঘন্টা ডিউটি থাকে। সপ্তাহে দুই দিন বন্ধ থাকে। আপনি বছরে ২২ দিন ছুটি নিতে পারবেন। পর্তুগাল বেতন কত জানলে ধারণা করতে পারবেন কোন কাজ করলে আপনি কত টাকা মাসে বেতন পাবেন।
আরও পড়ুন: পর্তুগাল ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
পর্তুগাল বেতন কত
বিভিন্ন কাজের জন্য বেতনের পরিমাণ আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। তবে সাধারণত প্রযুক্তি, আইন এবং চিকিৎসা সেক্টরে চাকরির বেতন সবচেয়ে বেশি। অভিজ্ঞ এবং দক্ষ কর্মীরা কম অভিজ্ঞদের তুলনায় বেশি বেতন পায়। বড় শহরগুলোতে (যেমন: লিসবন এবং পোর্তো) ছোট শহরগুলোর তুলনায় বেতন বেশি হয়। বড় এবং লাভজনক কোম্পানিগুলো সাধারণত ছোট বা কম লাভজনক কোম্পানিগুলোর তুলনায় বেশি বেতন প্রদান করে থাকে। এছাড়া কিছু কোম্পানি বেতনের পাশাপাশি স্বাস্থ্য বীমা, পেনশন এবং অন্যান্য সুবিধা প্রদান করে থাকে।
| ক্রমিক নম্বর | কাজের নাম | মাসিক বেতন (টাকায়) |
|---|---|---|
| ১ | রিসেপশনিস্ট | ১,৫০,০০০-২,৫০,০০০ |
| ২ | ওয়েটার | ১,১০,০০০-২,৫০,০০০ |
| ৩ | ক্লিনার | ১,১০,০০০-১,৮০,০০০ |
| ৪ | গার্মেন্টস শ্রমিক | ১,১৫,০০০-১,৫০,০০০ |
| ৫ | ডেলিভারি ম্যান | ১,৫০,০০০-২,৫০,০০০ |
| ৬ | ড্রাইভার | ১,৫০,০০০-২,২০,০০০ |
| ৭ | কনস্ট্রাকশন শ্রমিক | ১,২০,০০০-২,০০,০০০ |
| ৮ | ইলেকট্রিশিয়ান | ১,২০,০০০-২,০০,০০০ |
| ৯ | প্লাম্বার | ১,৫০,০০০-২,০০,০০০ |
| ১০ | শেফ | ১,২০,০০০-২,০০,০০০ |
| ১১ | কৃষি কাজ | ১,০০,০০০-২,০০,০০০ |
আরও পড়ুন: পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
পর্তুগালে কোন কাজের চাহিদা বেশি
পর্তুগালে বেশ কিছু কাজ রয়েছে যেগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। তবে বাঙালি প্রবাসীরা দক্ষতাভিত্তিক কাজগুলো সবচেয়ে বেশি করে থাকে। যেগুলো পর্তুগাল বেতন কত পড়লে জানতে পারবেন। পর্তুগালে চাহিদা রয়েছে এমন কিছু কাজের তালিকা তৈরি করে দেয়া হলো:
| ক্রমিক নম্বর | কাজের নাম |
|---|---|
| ১ | নার্স |
| ২ | সফটওয়্যার ডেভেলপার |
| ৩ | ইঞ্জিনিয়ার |
| ৪ | শিক্ষক |
| ৫ | পর্যটন কর্মী |
| ৬ | হিসাবরক্ষক এবং অডিটর |
| ৭ | বিপণন বিশেষজ্ঞ |
| ৮ | আইনজীবী |
| ৯ | ডেটা বিশ্লেষক |
| ১০ | কনস্ট্রাকশন শ্রমিক (মেকানিক, ইলেকট্রিশিয়ান, ওয়েল্ডিং, প্লাম্বার, রাজমিস্ত্রি, রংমিস্ত্রি, রডমিস্ত্রি) |
পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে
এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য একটি বৈধ ভিসার প্রয়োজন। তবে উদ্দেশ্য অনুযায়ী পর্তুগাল ভিসা ক্যাটাগরি আলাদা হয়ে থাকে। আর এই ভিসা ক্যাটাগরি এবং ভিসার মেয়াদের উপর নির্ভর করে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে সেটা কম বেশি হয়ে থাকে। এছাড়া সরকারিভাবে গেলে পর্তুগাল যাওয়ার খরচ কম লাগে। তবে বেসরকারিভাবে বিভিন্ন বিশ্বস্ত এজেন্সির সাহায্যে গেলে তুলনামূলক খরচ বেশি লাগে।
| ভিসা ক্যাটাগরি | মোট খরচ (টাকায়) |
|---|---|
| ভিজিট ভিসা | ২-৪ লক্ষ |
| স্টুডেন্ট ভিসা | ৪-৬ লক্ষ |
| ওয়ার্ক পারমিট ভিসা | ১০-১৫ লক্ষ |
| শেনজেন ভিসা | ১০-১৫ লক্ষ |

ফ্রি ভিসা পরামর্শ পেতে, প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে কিংবা আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেলের লিংকে ক্লিক দিয়ে জয়েন হোন। টেলিগ্রাম চ্যানেল লিংক: বিডি ভিসা আপডেট




