ওমান সরকার কর্তৃক বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা স্থগিতের ঘোষণার তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও চালু করে নি। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, নিকট ভবিষ্যতেও এই ভিসা চালু হওয়ার সম্ভাবনা কম। ফলে ওমানের শ্রমবাজারে বাংলাদেশি কর্মী পাঠানো বন্ধ রয়েছে।
ভিসার অপব্যবহারের অভিযোগে গত ৩১ অক্টোবর ২০২৩ বাংলাদেশিদের জন্য সব ধরনের ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে ওমান সরকার। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) সূত্রে জানা গেছে, কবে নাগাদ এই ভিসা চালু হতে পারে, তা একেবারেই অনিশ্চিত।
ওমানের ভিসা কবে খুলবে
ভিসা চালুর জন্য গত ডিসেম্বরে সরকারের পক্ষ থেকে ওমানে একটি খসড়া সমাঝোতা স্মারক পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এ ব্যাপারে ওমান সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
এই ভিসা বন্ধের ফলে ওমানে কর্মরত প্রায় ৪ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিকের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অনেকেই চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন। এছাড়া নতুন করে কাজের সুযোগও বন্ধ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ওমান বেতন কত
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার ওমান সরকারের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করে ভিসা চালুর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দিচ্ছে।
মূল শ্রমবাজারের প্রায় ১০% কর্মী হারিয়ে ওমানে শ্রমিক সংকটের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। গত বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ৮৮৩ জন কর্মী তৃতীয় শ্রমবাজার, যা মূল শ্রমবাজারের ৯.৮০% বন্ধ হওয়ার পর এই শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অভিবাসন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই শ্রমবাজার পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলে এবং নতুন শ্রমবাজার খোলা না হলে ওমানের জনশক্তি খাতে সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
ওমানের বর্তমান অবস্থা
ওমানে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য উদ্বেগজনক পরিস্থিতি! প্রায় পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে ওমানে আসা অনেক কর্মী কাজ না পেয়ে দীর্ঘদিন বসে থাকতে বাধ্য হচ্ছে বলে জানিয়েছে ওমানে বাংলাদেশ দূতাবাস। এই হতাশায় অনেকে নানা ধরনের অবৈধ কাজে জড়িয়ে পড়ছেন, এমনকি ওমানি নাগরিকদের মারধরের অভিযোগও উঠেছে।
এই পরিস্থিতির সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ও ওমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দূতাবাস। দূতাবাস কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন, ওমানে কর্মরত সকল বাংলাদেশি কর্মীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা এবং নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হওয়ার পরই বন্ধ হওয়া ভিসা চালু করা উচিত।
ওমানের বাংলাদেশের প্রবাসীদের নিয়ে নিত্য নতুন
খবর দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে