অনলাইনে ২ মিনিটে ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে পারবেন। জন্ম নিবন্ধন প্রতিটি নাগরিকের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট। আগে পুরাতন হাতে লেখার জন্ম নিবন্ধন গ্রহণযোগ্য ছিল। কিন্তু বর্তমানে এটা কোন কাজে লাগে না।
এজন্য সবার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন থাকা আবশ্যক। যাদের হাতে অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম সনদ রয়েছে তাদের উচিত হবে জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে যাচাই করে নেওয়া।
নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য একাজটি করতে পারেন। তবে এজন্য অবশ্যই জন্ম সনদ ১৭ ডিজিটের হতে হবে। সরকারি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ব্যবহার করে খুব সহজেই এখন ঘরে বসে ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা যায়।
১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে কি কি লাগবে?
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে হলে যা যা লাগবে তা নিচে উল্লেখ করা হলো:
- ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর
- জন্ম তারিখ
- মোবাইল কিংবা কম্পিউটার
- ইন্টারনেট সংযোগ
আপনার জন্ম সনদের নম্বর অবশ্যই ১৭ ডিজিটের হতে হবে। যদি ১৬ ডিজিটের হয় তাহলে ১৭ ডিজিট করে নিতে হবে। এটা করা খুব সহজ।
২ সেকেন্ডের ভিতরে যে কেউ চাইলে ১৬ ডিজিটের কিংবা ১৩ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন ১৭ ডিজিট করে নিতে পারবে। এজন্য অবশ্যই তাকে ১৬ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন ১৭ ডিজিট করার নিয়ম জানতে হবে।
আবেদনকারীর সঠিক জন্ম তারিখ লাগবে। কাজটি করার জন্য অবশ্যই ইন্টারনেট সংযোগ থাকা কোন মোবাইল কিংবা কম্পিউটারের প্রয়োজন পড়বে।
১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার নিয়ম
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন তথ্য যাচাই করা সম্ভব। এই যাচাই প্রক্রিয়াটি তুলনামূলক অনেক সহজ। নিচে উল্লেখিত ধাপগুলো ধারাবাহিকভাবে অনুসরণ করে কাজ করলে দুই মিনিটের মধ্যে যাচাই করতে পারবেন।
Step 1: জন্ম নিবন্ধন যাচাই ওয়েবসাইট ভিজিট
প্রথমে বাংলাদেশ সরকারের অফিসিয়াল জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে।
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার লিংকটি হলো: everify.bdris.gov.bd
উক্ত লিংকে প্রবেশ করলে নিচের মত একটা পেজ দেখতে পাবেন। সেখানে কিছু তথ্য দিতে হবে।
Step 2: জন্ম নিবন্ধন নম্বর, জন্ম তারিখ ও ক্যাপচা পূরণ
উক্ত লিংকটিতে প্রবেশ করলে জন্ম নিবন্ধন নম্বর ও জন্ম তারিখ বসানোর বক্স দেখতে পাবেন। সঙ্গে একটি ক্যাপচা পূরণ করতে হবে। প্রথমে আপনাকে ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বরটি প্রথম বক্সে বসাতে হবে।
এরপর আপনাকে জন্ম তারিখ বসানোর ফরমেট অনুযায়ী জন্ম তারিখ বসাতে হবে। জন্ম তারিখ বসানোর সময় অবশ্যই প্রথমে সাল, তারপর মাস এবং সর্বশেষ দিন বসাতে হবে। ক্যাপচা পূরণ করার সময় গাণিতিক হিসাব করতে হয়।
সেটা কখনো যোগ কখনো কখনো যোগ হতে পারে। হিসাবটি সঠিকভাবে সমাধান করে উত্তরের বক্সে বসাবেন। এরপর এক নজরে সকল ইনফরমেশন দেখে নিতে হবে সঠিকভাবে পূরণ করেছেন কিনা।
সর্বশেষ আপনাকে সার্চ অপশনে ক্লিক দিতে হবে। পাশেই ক্লিয়ার অপশন রয়েছে। এই অপশনে ভুলেও ক্লিক দিবেন না। এতে সকল ইনপুট দেওয়া তথ্য মুছে যাবে।
যার ফলে আপনাকে পুনরায় সব ইনফরমেশন নতুন করে বসাতে হবে। সার্চ অপশনে ক্লিক করার পর কাঙ্খিত অনলাইন কপি দেখতে পারবেন। যেটা দেখে যাচাই করতে পারবেন।
Step 3: যাচাই কপি ডাউনলোড
সার্চ অপশন ক্লিক দেওয়ার পরে নিচের মত দেখতে পাবেন। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ সকল ইনফরমেশন পাবেন। সকল তথ্য ইংরেজি এবং বাংলাতে থাকবে। আপনার হাতে থাকা বর্তমান জন্ম নিবন্ধনের সাথে এগুলো মিলিয়ে দেখতে পারবেন।
বিভিন্ন সময় জন্ম নিবন্ধন তথ্য ভেরিফিকেশন করা হয়। বিশেষ করে চাকরির পুলিশ ভেরিফিকেশন কিংবা পাসপোর্ট করার সময় পুলিশ ভেরিফিকেশন করার সময়। তাই আগে থেকে নিজে নিজে যাচাই করা উচিত। কোন ধরনের ভুল থাকলে তা আগে থেকেই সংশোধন করে নিতে পারবেন। আপনি চাইলে খুব সহজে এই অনলাইন যাচাই কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।
এজন্য কম্পিউটারে শর্টকাট অনুসরণ করতে হবে আর মোবাইলে ব্রাউজারের থ্রি ডট মেনুতে শেয়ার অপশনে গেলে প্রিন্ট করার অপশন পাবেন সেখান থেকে পিডিএফ তৈরি করে নিতে পারবেন। পরবর্তী যেকোনো সময় এটি প্রিন্টার দিয়ে প্রিন্ট করা সম্ভব।
১৬ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন কিভাবে যাচাই করব?
১৬ ডিজিটের জন্মদিন অনলাইন করা থাকলে সেটি দিয়েও জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা যায়। তবে এজন্য প্রথমে আপনাকে জন্ম নিবন্ধন নম্বরটি ১৭ ডিজিটে রূপান্তর করতে হবে। শেষের দিক থেকে ৫ ডিজিটের আগে একটা শূন্য (০) বসিয়ে দিলে জন্ম নিবন্ধন ১৭ ডিজিট হয়ে যাবে।