আমেরিকা কাজের ভিসা ২০২৪ (সকল তথ্য)

স্বপ্নের দেশ আমেরিকা উন্নত জীবনযাত্রা, অসাধারণ কর্মসংস্থানের সুযোগ এবং বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। আপনি যদি একজন উদ্যমী, দক্ষ, এবং কর্মঠ ব্যক্তি হন তাহলে আমেরিকা কাজের ভিসা আপনার জন্য একটি চমৎকার সুযোগ হতে পারে।

আমেরিকা কাজের ভিসা, “এমপ্লয়মেন্ট ভিসা” নামেও পরিচিত, যা আপনাকে স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ করে দিতে পারে। এই ভিসার মাধ্যমে আপনি আমেরিকায় বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। আমেরিকায় জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত এবং কাজের বেতন অনেক বেশি। এই দেশে আপনি ফুড ডেলিভারি করে প্রতি ঘন্টায় ২৫ থেকে ৩৫ ডলার ইনকাম করতে পারবেন।

আমেরিকা কাজের ভিসা আবেদন

আমেরিকার কাজের ভিসার জন্য আবেদন করার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই আমেরিকান কোনো কোম্পানি থেকে একটি কাজের প্রস্তাব (Job Offer) পেতে হবে। আমেরিকান কোম্পানিগুলো তাদের ওয়েবসাইট, বিভিন্ন চাকরির বোর্ড, অথবা রিক্রুটমেন্ট এজেন্সির মাধ্যমে শূন্য পদ পূরনের জন্য জব সার্কুলার প্রকাশ করে থাকে।

আপনার যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ পদ খুঁজে পেলে আপনাকে কোম্পানিতে আবেদন করতে হবে। আপনার আবেদন গ্রহণ করলে কোম্পানি আপনার জন্য একটি H-1B (ওয়ার্ক পারমিট) ভিসার জন্য আবেদন করবে। H-1B ভিসা হলো স্পেশালিটি অকুপেশনাল ওয়ার্কারদের জন্য নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা। এছাড়া কাজের জন্য আরও অনেক ভিসা ক্যাটাগরি রয়েছে।

এই ভিসার মেয়াদ সাধারণত ৬ বছর থাকে। তবে প্রয়োজনে আরও ৩ বছরের জন্য বর্ধিত করা যায়। তবে এজন্য অবশ্যই আপনার আমেরিকার কাজের ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা থাকা লাগবে। ভিসা আবেদন করার পর আপনাকে দূতাবাসে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। ইন্টারভিউ দেওয়ার পর আপনার ভিসা অনুমোদন পেতে পারেন কিংবা রিজেক্ট হতে পারে।

কাজের ভিসার জন্য আবেদন করার সময় আপনাকে নিম্নলিখিত কাগজপত্র জমা দিতে হবে:

  • পাসপোর্ট
  • আই-129 ফর্ম
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
  • কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট
  • কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র
  • ইংরেজি ভাষার দক্ষতার সার্টিফিকেট
  • H-1B ভিসার আবেদন ফি

আমেরিকা কাজের ভিসা বেতন কত

অনেক বাঙালির মনেই আমেরিকা কাজের ভিসা পেয়ে সেখানে স্থায়ী হওয়ার স্বপ্ন থাকে। উন্নত জীবনযাত্রা, উচ্চ বেতন এবং সুযোগ-সুবিধার আকর্ষণ বেশ প্রবল। কিন্তু আমেরিকা কাজের ভিসা বেতন কত? এই প্রশ্নটি অনেকের মনেই ঘুরপাক খায়।

আরও পড়ুন: আমেরিকার সর্বনিম্ন বেতন কত

আমেরিকায় কাজের বেতন আপনার কাজের ধরন, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, এবং কর্মক্ষেত্রের অবস্থানের উপর নির্ভর করে থাকে। তবে সাধারণত আমেরিকায় কাজের বেতন অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে থাকে। বর্তমানে আমেরিকাতে যে কোনো কাজ করে মাসে আনুমানিক প্রায় ৪ হাজার থেকে ৭ হাজার ডলার ইনকাম করা যায়।

আমেরিকা কাজের ভিসা খরচ কত

আমেরিকার কাজের ভিসার খরচ সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। এই ভিসা পাওয়া অনেক জটিল ও দীর্ঘ প্রক্রিয়া। এই ভিসা পাওয়ার জন্য কোম্পানির জব অফার লাগবে। তারপর আমেরিকাতে আইনজীবী নিয়োগ করে ওয়ার্ক পারমিট নিতে হয়।

বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে আমেরিকা যেতে আনুমানিক প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা লাগে। তবে স্পাউস ভিসা নিয়ে অল্প টাকায় খুব সহজে আমেরিকায় যাওয়া যায়। এজন্য অবশ্যই আপনার পরিচিত কেউ আমেরিকাতে থাকা লাগবে। এই খরচের ভিতরে সকল ধরনের খরচ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

আরও জানতে পড়ুন: আমেরিকার নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়

11 thoughts on “আমেরিকা কাজের ভিসা ২০২৪ (সকল তথ্য)”

  1. hi madir sir my name is akhter hussain bangladesh i got a job offer from an american company through facebook it said that i have to pay the embassy fee and ticket and i was given a visa application form but it says that the money has to be transferred to thad and i got a call from mil Called from embassy and from me paid embassy fee insurance fee now saying ticket fee janna company name general mills my humble request to u plz show me a way janna waste ur precious time janna sorry thank you

    Reply
    • ভাই আপনি আমাকেও একটু বলুন , আমি ও ঐ কোম্পানিতে আবেদন করেছি, কাগজ পত্র পাঠানো হয়েছে, সেখান থেকে রিটার্ন করার জন্য কুরিয়ার চার্জ দিয়েছি, গত দুই দিন আগে ঢাকা মার্কিন দূতাবাস থেকে আমার কাছে ফোন দিয়েছে এবং বলল ভিসা প্রসেসিং ফি জমা দেওয়া জন্য, কিন্তু আমি কি ভাবে ফি পরিশোধ করব,

      Reply
  2. ভাই আমাকে কেউ কাটিয়েছে কাজ দিয়েন আমার কাছে তো অত টাকা পয়সা নেই ভাইয়া দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা এখনো ভিসা থাকলে আমাকে আমার খুব উপকার হবে ভাইয়া কেউ দয়া করে একটু জানাবেন গরিব রে একটু সহায়তা করুন

    Reply
  3. ভাই আমাকে কেউ কাজ দিবেন আমার কাছে তো অত টাকা পয়সা নেই ভাইয়া দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা কোনো ভিসা থাকলে আমাকে নিবেন আমার খুব উপকার হবে ভাইয়া কেউ দয়া করে একটু জানাবেন গরিব রে একটু সহায়তা করুন

    Reply

Leave a Comment