সূর্যোদয়ের দেশ জাপান যেটি পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। দেশটিতে অধিক আয়ের সুযোগের পাশাপাশি উপভোগ করতে পারবেন উন্নত জীবনযাপন মান। দেশটি অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হওয়ায় প্রচুর কাজের সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া দেশটি বর্তমানে শান্তিপ্রিয় এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেশ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে।
বাংলাদেশ থেকে অনেকে জাপানের যেতে চায়। কিন্তু দেশটির ভিসা পাওয়া অনেক কঠিন। বেসরকারিভাবে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে দেশটিতে গেলে অনেক টাকা লাগে। যার কারণে বেশিরভাগ মানুষ অনলাইনে সরকারিভাবে জাপানে যাওয়ার উপায় খুঁজে থাকে। আপনিও যদি দেশটিতে স্টুডেন্ট কিংবা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চান তবে আর্টিকেলটি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত ধৈর্য ধরে পড়ুন।
সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে জাপানে যেতে পারবেন। এজন্য আপনাকে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিএমইটি (BMET) এর মাধ্যমে যেতে হবে। এজন্য প্রথমে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। এরপর আপনাকে রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড দিতে হবে।
সঙ্গে অবশ্যই ফি প্রদান করবেন। অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পর আপনাকে জাপানের চাকরির সার্কুলার প্রকাশ করলে আপনাকে আবেদন করতে হবে। আপনি অনলাইনে কিংবা অফলাইনে আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন। লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করা হয়।
সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে যোগ্যদের চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হবে। নির্বাচিত প্রার্থীদের জাপানে কাজের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সফলভাবে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার পর BMET কর্তৃপক্ষ তাদের জাপানে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিবে।
সরকারিভাবে জাপানে যেতে কি কি লাগে
- জাপানি ভাষা দক্ষতা সার্টিফিকেট
- বয়স ১৮-৩০ বছর
- জাতীয় পরিচয়পত্র
- এস.এস.সি সনদপত্রের ফটোকপি
- জীবনবৃত্তান্ত
- উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ২ ইঞ্চি
- পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- স্বাস্থ্য সনদ
জাপান যেতে শিক্ষাগত যোগ্যতা
জাপানে যাওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা সাধারণত ভিসা ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে থাকে। স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে জাপানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তির সার্কুলার অনুযায়ী শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। তবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে ন্যূনতম আপনাকে এসএসসি পাস হতে হবে। কোম্পানির কাজের ধরন অনুযায়ী শিক্ষাগত যোগ্যতা কম কিংবা বেশি হতে পারে।
জাপানে যেতে কত বছর বয়স লাগে
জাপানে যাওয়ার বয়স সাধারণত ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে জাপানি যেতে হলে আপনার সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স ৩০ বছর হতে হবে। যদি চাকরির সার্কুলারে ৩০ বছরের বেশি বয়সের রিকোয়ারমেন্ট থাকে তখন আপনি ৩০ বছরের বেশি হলেও যেতে পারবেন।
বিজনেস ভিসার ক্ষেত্রে আপনার সর্বনিম্ন বয়স ২১ বছর হতে হবে। তবে টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে বয়সের কোন নির্দিষ্ট সীমা নেই। তাছাড়া স্টুডেন্ট ভিসা পেতে কোন নির্দিষ্ট বয়স সীমা আছে। স্নাতক ডিগ্রি প্রোগ্রাম ভর্তি হতে ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর হতে হবে এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রোগ্রামে ভর্তি হতে ন্যূনতম বয়স ২১ বছর হতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে জাপান যেতে কত সময় লাগে
আগে বাংলাদেশ থেকে জাপানে যেতে অনেক বেশি সময় লাগতো। কারণ তখন কানেক্টিং ফ্লাইটে ঢাকা থেকে জাপানের রাজধানী টোকিওতে যেতে হতো। তবে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে জাপানে যেতে মাত্র ৬ ঘন্টা সময় লাগে।
এজন্য আপনাকে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমানের ফ্লাইটে যেতে হবে। এই ফ্লাইট বাদ দিয়ে যদি অন্য এয়ার লাইন্সের মাধ্যমে তাহলে ১২ ঘন্টা থেকে ১৫ ঘণ্টা সময় লাগবে। ঢাকা থেকে নারিতা সরাসরি ফ্লাইটের খরচ হয় ৭০ হাজার ৮২৮ টাকা এবং ফিরতি টিকিটের মূল্য জন প্রতি ১ লাখ ১১ হাজার ৬৫৬ টাকা।
আমি যদি ভাষা শিখে যাই, সরকারি ভাবে। তাহলে আমার ভাষা শিখা থেকে যাওয়া পর্যন্ত করতো টাকা খরচ হবে??
আমি ভিসা পাতেচা