যারা কাজের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ কিংবা ভারত থেকে কুয়েতে যেতে চাচ্ছেন তাদের অবশ্যই জানতে হবে কুয়েত কোন কাজের বেতন কত। তাহলে আপনি ধারণা করতে পারবেন সেখানে গেলে কেমন বেতন পাবেন। অনেক সময় দালাল এবং এজেন্সির লোকেরা বেতন সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়ে থাকে। যাতে আপনার কাছ থেকে ভিসার দাম বেশি নিতে পারে।
কুয়েত এশিয়ার ছোট দেশ হওয়া স্বত্তেও অর্থনৈতিকভাবে অনেক বেশি শক্তিশালী। দেশটিতে প্রবাসী হিসেবে অনেক শ্রমিক এবং চাকরিজীবী কর্মরত রয়েছে। কারণ এদেশের বেতন বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি। দেশটিতে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ শ্রমিকদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
কুয়েত কোন কাজের বেতন কত
কুয়েতে প্রবাসীরা বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে। তবে এদের বেশিরভাগের শিক্ষাগত যোগ্যতা কম থাকে। যার কারণে বেতন তুলনামূলক অন্যান্য কাজের চেয়ে কম হয়ে থাকে। দেশটিতে প্রবাসীরা সাধারণত ড্রাইভিং, কন্সট্রাকশন, ক্লিনার, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট কর্মী, দর্জি, প্লাম্বার, ইলেকট্রিশিয়ান, শেফ, রডমিস্ত্রি, ওয়েল্ডিং শ্রমিক এবং রংমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করে থাকে। কারণ এসব কাজে খুব বেশি শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না। শুধু স্কিল এবং এক্সপেরিয়েন্স থাকলেই কাজ করা যায়।
আরও পড়ুন: কুয়েত যেতে বয়স কত লাগে
কুয়েতে শ্রমিকদের বেতন কত
কাতারের শ্রমিক হিসেবে আপনি পরিছন্নতা কর্মী, রাজমিস্ত্রি, ওয়েল্ডিং, রংমিস্ত্রি, রডমিস্ত্রি ইত্যাদি কাজ করতে পারবেন। কাজের ধরন অনুযায়ী বেতন কাঠামো আলাদা হয়ে থাকে। তবে সর্বনিম্ন ৩০ হাজার টাকার কম কেউ বেতন পায় না। এই দেশে ক্লিনারদের বেতন সবচেয়ে কম। চেষ্টা করবেন ক্লিনার ভিসা নিয়ে আরবের কোনো দেশে না যাওয়ার। কুয়েতে শ্রমিকদের সর্বোচ্চ বেতন ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
আরও পড়ুন: কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত
কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত
অনেকেই কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন। তাই কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত হয় জানা উচিত। এই ভিসা পেতে বাধ্যতামূলক ড্রাইভিং লাইসেন্স লাগবে। দেশটিতে অনেক ধরনের ড্রাইভিং জব রয়েছে। তবে বেশিরভাগ মানুষ দেশটিতে গিয়ে ট্যাক্সি, কার, লরি, ট্রাক এবং বাস চালায়। কোম্পানিতে কাজ করার পাশাপাশি আপনি বাড়তি ইনকামের সুযোগ পাবেন। বর্তমানে ড্রাইভিং ভিসার বেতন মাসে ৬৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা হয়ে থাকে। আপনার কাজের ধরন এবং অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বেতন কম বেশি হবে। সাধারণত কোম্পানিগুলো থাকা ও খাওয়ার সুবিধা দেয়।
আরও পড়ুন: কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে
কুয়েতে ক্লিনারের বেতন কত
কুয়েতে ক্লিনারদের অনেক চাহিদা রয়েছে। এই কাজ করতে হলে তেমন কোনো যোগ্যতা, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই। যার কারণে কুয়েতে ক্লিনাদের বেতন তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। ক্লিনার ভিসা নিয়ে কুয়েতে গেলে অতিরিক্ত ইনকামের তেমন কোনো সুযোগ নেই। ডাবল ডিউটি করলে বেতন দ্বিগুন পাবেন। তবে এটা আপনার জন্য কষ্টকর হতে পারে। বর্তমানে কুয়েতে ক্লিনারের বেতন ৩০ হাজার টাকার আশেপাশে হয়ে থাকে। অনেকে আরো কম বেতন পায়।
আরও পড়ুন: কুয়েত যাওয়ার নিয়ম
কুয়েত হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ভিসা বেতন কত
কুয়েতে প্রচুর হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে সেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। আপনি চাইলে ওয়েটার, শেফ, কুক, পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কাজ করতে পারবেন। বর্তমানে কুয়েতে হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ভিসার বেতন ৫০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা। আপনার কাজের অভিজ্ঞতা বাড়লে বেতন বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া ওয়েটার হিসেবে কাজ করলে কাস্টমারের কাছ থেকে বকশিশ পাওয়া যায়।
কুয়েত ইলেকট্রিক কাজের বেতন কত
শুধু কুয়েত নয় ইলেকট্রিশিয়ানদের পৃথিবীর সকল দেশের চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি ভালো ইলেকট্রনিক কাজ জানেন তবে কুয়েতে ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে বেশি টাকা ইনকাম করতে পারেন। দেশটিতে সাধারণত ইলেকট্রিশিয়ানের একদিনের ইনকাম প্রায় ১৫ দিনার হয়ে থাকে। প্রতি মাসে আপনি প্রায় ৪৫০ দিনার ইনকাম করতে পারবেন। যা বাংলাদেশী টাকায় হবে ১,৬০,০০০। তবে আপনার অভিজ্ঞতা এবং কোম্পানি ভেদে ইলেকট্রনিক কাজের বেতনের তারতম্য হতে পারে।
আরও পড়ুন: কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি