অনেকেই লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে জানে না। যারা পড়াশোনা, ভ্রমন এবং কাজের জন্য ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত এই দেশটিতে যেতে আগ্রহী তাদের কাছে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। যারা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে স্বপ্নের এই দেশে পাড়ি জমাতে চান তাদেরকে অবশ্যই লিথুনিয়া ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। কারণ ভিসা ছাড়া আপনি দেশটিতে কোনোভাবেই প্রবেশ পারবেন না।
লিথুনিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের সেনজেনভুক্ত একটি দেশ। দেশটিতে কাজের বেতন এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি পাবেন। এছাড়া যারা পড়াশোনা করতে যাবেন তারা উন্নত অনেক শিক্ষা ব্যবস্থা উপভোগ করতে পারবেন। যা আপনাকে মানসম্মত শিক্ষা সেবা প্রদান করবে। পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য এটি একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য।
কারণ দেশটিতে দেখার মত অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য রয়েছে। আপনার উদ্দেশ্য যেটাই হোক লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে সেটা অবশ্যই জানতে হবে। পাশাপাশি আপনাকে লিথুনিয়া ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে হবে। তাই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
লিথুনিয়া ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
লিথুনিয়া যাওয়ার জন্য সেনজেন ভিসার প্রয়োজন। সাধারণত মানুষ দেশটিতে স্টুডেন্ট, টুরিস্ট এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যায়। স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে দেশটির কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির লেটার দেখাতে হবে। টুরিস্ট ভিসার পাওয়ার জন্য আপনার আর্থিক অবস্থা ভালো থাকতে হবে।
আর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য দেশটিতে কাজের অফার লেটার পেতে হবে। আপনি কাজের অফার পাওয়ার পর কোম্পানির আপনার পক্ষে ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন করে দিবে। এরপর আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে লিথুনিয়া ভিসা আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।
তবে বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকে। এক্ষেত্রে খরচ বেশি হয়ে থাকে। আপনি চাইলে নিজে নিজে অনলাইনে লিথুনিয়া ভিসা আবেদন করতে পারবেন। দেশটির ভিসা পাওয়া তুলনামূলক সহজ।
আরও পড়ুন: লিথুনিয়া কাজের ভিসা পাওয়ার উপায়
লিথুনিয়া যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
- পাসপোর্ট
- সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তির লেটার (স্টুডেন্ট ভিসা)
- ইউরোপিয়ান সিভি
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
- কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট (ওয়ার্ক পারমিট ভিসা)
- কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ (ওয়ার্ক পারমিট ভিসা)
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- মেডিকেল সার্টিফিকেট
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- জব অফার লেটার (ওয়ার্ক পারমিট ভিসা)
- ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট (যদি লাগে)
- ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম
আরও পড়ুন: লিথুনিয়া সর্বনিম্ন বেতন কত
লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে
লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে সেটা নির্ভর করে ভিসা ক্যাটাগরি এবং কাকে দিয়ে ভিসা আবেদন করাবেন সেটার উপর। সাধারণত স্টুডেন্ট এবং ভিজিটর ভিসার খরচ কম হয়ে থাকে। তবে লিথুনিয়া কাজের ভিসা পেতে আপনাকে অনেক বেশি টাকা খরচ করতে হবে। বর্তমানে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে লিথুনিয়া যেতে আনুমানিক প্রায় ৪ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা লাগে।
ভিজিটর ভিসা নিয়ে দেশটিতে যেতে আনুমানিক প্রায় ৪ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ লাগে। তবে লিথুনিয়া কাজের ভিসা নিয়ে যেতে আপনাকে ১০ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে। আপনি যদি নিজে নিজে ভিসার জন্য আবেদন করেন তবে কম খরচে যেতে পারবেন। তবে বেসরকারি বিভিন্ন এজেন্সির সহযোগিতা নিলে খরচ বেশি হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: লিথুনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
লিথুনিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে
টুরিস্ট ভিসা এবং স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে লিথুনিয়া যাওয়ার নির্দিষ্ট কোনো বয়সসীমা নেই। তবে কাজের ভিসার ক্ষেত্রে আপনার সর্বনিম্ন বয়স ২০ বছর হতে হবে। অনেক সময় চাকরির সার্কুলারে বয়সের রিকোয়ারমেন্ট থাকে। তখন আপনাকে সেই রিকোয়ারমেন্ট অনুসারে আবেদন করতে হবে।
বয়সের যোগ্যতা পূরণ করতে না পারলে লিথুনিয়া ভিসা আবেদন করতে পারবে না। যারা লিথুনিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে জানতে চেয়েছেন আশা করি তারা উত্তর পেয়েছেন। তবে আপনার ২১ বছর থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে হলে লিথুনিয়া কাজের ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।
আরও পড়ুন: লিথুনিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার নিয়ম